গত বৃহস্পতিবার দিল্লীতে প্রকাশ্য রাস্তায় এক ২০ বছরের যুবতীকে গণধর্ষিত এবং নির্যাতিত হতে হল। উঠে আসছে ঠিক এমন অভিযোগই। দিল্লির কস্তুরবা নগরে মূলতঃ মহিলারাই নাকি এই অন্যায় কাজে দিলেন নেতৃত্ব। ধর্ষণের পর কাঁচি দিয়ে ওই যুবতীর চুল কেটে ন্যাড়া করে মুখে কালি লাগিয়ে দেওয়া হয়। তারপর গলায় জুতোর মালা পরিয়ে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে উল্লাসে চিৎকার করা হয়। মেয়েটিকে এই অবস্থায় অভিযুক্তরা প্যারেডও করান এক ঘন্টা ধরে। ভিডিও অন্ততঃ তাই বলছে!
দিল্লী মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিয়ালের এক ভিডিও টুইট থেকেই এদিন বিষয়টি সামনে আসে। স্বাতী আরও টুইট করে জানান, নির্যাতিত যুবতী বয়ান দিয়েছে সাদ্রা থেকে তাঁকে অপহরণ করে তাঁর মৃত প্রেমিক আয়ুশের পরিবারের পুরুষ মহিলারা। সেখানে আয়ুশের বাবা কাকা মেয়েটিকে গণধর্ষণ করে লাঠি দিয়ে পেটায়, জোর করে নিজেদের মূত্র খাওয়ায়।ধর্ষকদের উস্কানি দেয় ঘরে হাজির কিছু মহিলা, যারা আয়ুশের পরিবারেরই লোক।
জানা গিয়েছে ধর্ষিত মেয়েটিকে উত্যক্ত করত পাড়ার প্রেমিক আয়ুশ। প্রেমিকের পরিবারের অবৈধ মদের ব্যবসা ছিল বলে সম্পর্কে সায় ছিল না মেয়েটির। আয়ুষের সুইসাইড প্রবণতা ছিল। গত নভেম্বরে রেললাইনে গলা দেয় আয়ুশ। ধর্ষিতার নাবালিকা বোন গণমাধ্যমকে জানিয়েছে আয়ুশের মৃত্যুর পর তার বাড়ির লোকজন মেয়েটির পরিবারকে শাসায়। প্রতিশোধ হিসেবে ধর্ষণের হুমকিও দেওয়া হয়। ধর্ষিতার বাবা পক্ষাঘাতে পঙ্গু থাকায় তিনি মেয়ের হয়ে আইনী লড়াই লড়তে পারবেন না। ইতিমধ্যে চারজন পুরুষ গ্রেফতার হয়েছে। তবে মহিলা অপরাধীদেরও সমান শাস্তি দাবী করা হচ্ছে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পর মেয়েটিকে নিরাপত্তার দাবীও উঠছে। ধর্ষিতা মারাত্মক আহত অবস্থায় রয়েছে। আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় তাঁর চিকিৎসার খরচ কে দেবে? সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
প্রতিবেদক সঙ্ঘমিত্রা বনবিবি
Discussion about this post