সাফল্য নয়, ব্যর্থতাকে নিয়েই এগিয়ে চলেছে সুইডেনের ‘মিউজিয়াম অফ ফেলিওর’
ব্যর্থতাকে যতটা পেছনে ফেলা যায় ততটা বেশি সাফল্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু সাফল্যের গণ্ডি উপেক্ষা করে এই মিউজিয়াম উদযাপন করে চলেছে ব্যর্থতাকে। এই মিউজিয়ামে রাখা আছে সেই সব জিনিস, যেগুলো সাফল্য পেতে ব্যর্থ হয়েছে।যেগুলো মানুষের কাছে পৌঁছতে গিয়েও পৌঁছতে পারেনি। সেই সব সামগ্রী সংগ্রহ করে তৈরি হয়েছে সুইডেনের ‘মিউজিয়াম অফ ফেলিওর’। এই মিউজিয়ামে এমনি অনেক ব্যর্থতার গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
জিতে যাওয়া মানুষের উপরেই সবসময় মনোনিবেশ করে মানুষ। আর হেরে যাওয়া মানুষ চিরকালই উপেক্ষিত। এই উপেক্ষিত মানুষদের তৈরি উপেক্ষার, ব্যর্থতার জিনিসই সাজিয়ে রাখার জন্য স্যামুয়েল ওয়েস্ট তৈরি করেছেন ‘মিউজিয়াম অফ ফেলিওর’।
বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের ষাটের উপর ব্যর্থ প্রোডাক্ট দেখানো হয় এই মিউজিয়ামে। উদ্দেশ্য হলো নামী সংস্থাগুলো যেভাবে প্রচুর বিজ্ঞাপনী চমকের পরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাজারের হার্টবিট বুঝতে পারেনি, তা উৎযাপন করা। যেমন ধরুন, কোলগেটের নাম জানি আমরা টুথপেস্টের জন্য। আপনারা কি জানেন? কয়েক দশক আগে বরফে জমানো খাবার বিক্রিরও চেষ্টা করেছিল তারা। মিউজিয়াম অফ ফেলিওরে সেই সব জিনিসই সংগৃহীত আছে। তারপর ধরুন গুগল গ্লাস, বিশ্বের চশমা প্রযুক্তিতে বিপ্লব আনার জন্য এই গ্লাস বাজারে এলেও কিছুদিন যাওয়ার পর মানুষ বুঝতে পেরেছিল অতিরিক্ত দাম ছাড়া এই গ্লাসের আর কোন মূল্য নেই।
ওয়েস্ট মনে করেন ব্যর্থতাই মানুষকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ব্যর্থতাও থাকতে পারে, পেশাদারী ব্যর্থতাও থাকতে পারে। যেমন ধরুন কোকা কোলা ও কফির সংমিশ্রণ। কোকা কোলা বাজারে হিট, কফিও। কিন্তু কফি – কোকের মিশ্রণ বাজারে একেবারেই চলেনি। এই মিউজিয়ামে জায়গা পেয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ১৯৮৯ – এ একটি অনলাইন গেম বার করে তার কোম্পানি। এতে খেলোয়াড়দের সম্পত্তি কেনা বেচা করতে হতো। বলা বাহুল্য এটিও একেবারেই চলেনি বাজারে।
Discussion about this post