ওই যে ছোটবেলায় বাবা-মা বা শিক্ষকেরা বলতেন, যদি ভাবো পঁচানব্বই পাবে, তাহলেই তুমি আশি পেতে পারো। কিন্তু আশি টার্গেট নিয়ে এগোলে সত্তরও না পেতে পারো। তাই, স্বপ্ন দেখলে বড় স্বপ্ন দেখবে। এই কথা আবারও প্রমাণিত হয়ে গেল। আঠেরো বছরের গুকেশ বরাবর স্বপ্ন দেখেছিল বিশ্বের প্রথম হওয়ার। এক্ষেত্রে বাস্তবটা একটু আলাদা হয়েছে। প্রথম হওয়ার স্বপ্ন দেখে গুকেশ দ্বিতীয় হয়নি, হয়েছে প্রথমই! আর দাবা খেলার ইতিহাসে তৈরি হয়েছে ইতিহাস।
গুকেশ ডোমারাজুর জন্ম ২০০৬ সালের ২৯ মে চেন্নাইতে। বাবা চিকিৎসক আর মা মাইক্রোবায়োলজিস্ট। সাত বছর বয়সে দাবা খেলা শুরু করেছিলেন গুকেশ। তার এক বছর পরেই অনূর্ধ্ব-৯ দলে এশিয়ান স্কুল দাবা প্রতিযোগিতায় জিত লাভ। এরপর অনূর্ধ্ব-১২ স্তরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পাঁচটি সোনা লাভ। মাত্র ১২ বছর ৭ মাস ১৭ দিন বয়সে গ্র্যান্ড মাস্টারের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনি। ১১ বছর বয়সে গুকেশ বলেছিলেন, তিনি সর্বকনিষ্ঠ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হতে চান। সেই কথা সত্যি করলেন তিনি। ১৮ বছর বয়সে বিশ্বের কনিষ্ঠতম হিসাবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেন।
গুকেশের খেলার স্টাইল আক্রমণাত্মক এবং সৃজনশীল। চিনের দাবাড়ু ডিং লিরেনকে হারিয়ে খেতাব জিতেছেন তিনি। গ্যারি কাসপারভের রেকর্ড ভেঙে সবথেকে কম বয়সে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের নজির গড়লেন এই ভারতীয়। কাসপারভ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন ২২ বছর বয়সে। জয়ের শেষে ১৮ বছরের গুকেশের চোখে ছিল জল। নিজের মধ্যেই যেন নিজের এই জয়, দেশের জন্য এই জয়কে আত্মস্থ করে নিচ্ছিলেন তিনি।







































Discussion about this post