মানুষ দিন দিন রূপান্তরিত হচ্ছে পশুতে। চারিদিকের ঘটনা অন্তত এমনটাই জানান দিচ্ছে। কিন্তু মনুষ্যত্ব পুরোপুরি হারিয়ে যায়নি এখনও। আর তাও ভীষণভাবে বেঁচে রয়েছে মাতৃত্বের হাত ধরে। পশুর ছানাকে স্তন্যপান করাচ্ছেন এক ‘মা।’ ছোট্ট এক কাঠবেড়ালি জন্মের পরই হারিয়েছে তার মাকে। বাঁচার পথ বন্ধ কারণ সে খাবে কী? ঠিক এমনই অবস্থায় তাকে কোলে তুলে নেয় এক নারী। তার মুখে তুলে দেয় নিজের স্তন্য। আলোকচিত্রী ডমিনিকো পুগলিস এরই ছবি তুলে ধরেছেন। সম্প্রতি তিনি ঘুরে এসেছেন অ্যাওয়াদের গ্রাম। ব্রাজিলের পূর্বাঞ্চলে গহীন এলাকায় তাদের বাস। এ সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা মাত্র তিনশো। আর সেখান থেকেই পুগলিসের ছবিতে উঠে আসে এই কিশোরী মায়ের কাহিনী।
ছবিতে দেখা যায়, এক কিশোরী মা স্নেহ ভরে এক কাঠবেড়ালির মুখে তুলে দিয়েছে নিজের বুক। খুব আগ্রহ নিয়ে ছানাটি দুধ খাচ্ছে। পুগলিস জানান, অ্যাওয়া পরিবারের শিশুরা পশুদের সাথেই বেড়ে ওঠে। তারা একেবারে প্রকৃতির কোলে জীবন যাপনে অভ্যস্ত। অ্যাওয়া বাবা মা রীতিমতো এসব প্রাণীদের দত্তক নেন। আর এই প্রাণীরাও বাবা মায়ের কাজ করে দেয়। যেমন ধরুন গাছ থেকে ফল পেড়ে দেওয়া, বাদামের খোসা ছাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি।
আর এ জন্যই হয়তো অ্যওরা নারীটি পরম আদর দিয়ে কাছে টেনে নিতে পেরেছেন কাঠবেড়ালির ছানাকে। নিজের সন্তানের মতোন পালন করে চলেছেন তাকে। বুকের দুধ তার মুখে তুলে দিতে কোনো কৃপণতা নেই। এসব কথায় চমক লাগলেও তাদের কাছে এটাই স্বাভাবিক জীবন। ‘আমার সন্তান’, ‘তোমার সন্তান’ করে বিভেদ সৃষ্টি না করে এভাবেই চলুক মাতৃত্ব যাপন। কারণ, আমাদের আসল মা যে স্বয়ং প্রকৃতি।
Discussion about this post