ভ্যাকসিনের দেখা বা মিললেও মারণ-রোগ ঠেকাতে নিত্য নতুন পন্থা অবলম্বন করতে দেখা যাচ্ছে একাধিক দেশকে। এবার সেই পথে হেঁটেই এক অভিনব পথে মারণ করোনাকে বাগে আনতে চাইছে ফিনল্যান্ড। সূত্রের খবর, এবার কার্যত ‘করোনা ধরতে’ মাঠে নামছে ফিনল্যান্ডের বিশেষ প্রশিক্ষিত কুকুরের দল।
ঘ্রাণ শক্তিতে অন্যান্য বন্যপ্রাণীদের মধ্যে কুকুরের যে জুড়ি মেলা ভার তা প্রায় সকলেই জানে। কুকুর তার ঘ্রাণ শক্তির দ্বারা ক্যান্সার, ম্যালেরিয়া কিংবা পারকিনসন রোগে আক্রান্তদের নির্ভুলভাবে চিহ্নিত করেছে অতীতেই। এবার কুকুরের সেই বিশেষ ক্ষমতাকেই কাজে লাগাতে চাইছেন ফিনল্যান্ড। সূত্রের খবর, গন্ধ শুকেই করোনার উপস্থিতি সম্পর্কে জানান দেবে এই বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত কুকুরের দল। বুধবার থেকেই আগামী কয়েক মাসের জন্য সেখানে এই পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়ে যাচ্ছে বলে খবর।
ইতিমধ্যেই ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কি বিমানবন্দর থেকেই শুরু হচ্ছে এই অভিনব প্রজেক্টের কাজ। এদিকে এখনও পর্যন্ত লালারসের পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা বা পিসিআর পরীক্ষার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি করোনা সংক্রমিত হয়েছেন কিনা জানা যায়। হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মতে, এবার এই কাজে সাহায্য করতে চলেছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরের দল। গবেষকদের মতে এয়ারপোর্টে আসা যাত্রীদের ঘাম শুঁকেই কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত কিনা তা বলে দিতে পারে এই কুকুরের দল। এর আগেও কুকুরের মাধ্যমে করোনা টেস্টিংয়ে সাফল্য এসেছে আমেরিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে।
সূত্রের খবর, প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধাপে যদি কোনও ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতির কথা জানা যায় তবে তাদের ফের একবার পিসিআর পরীক্ষা করার কথাও বলছেন গবেষকেরা। ‘স্নিফিং’ ডগের মাধ্যমে করোনা টেস্টিংয়ে কোনও গাফিলতি এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে আগামী চার মাস হেলসিঙ্কি বিমানবন্দরে কুকুরের মাধ্যমে করোনা টেস্টের এই পাইলট প্রজেক্ট চলবে বলেও জানা যাচ্ছে। এদিকে এই পরীক্ষার কার্যকারিতা নিয়ে এর আগেই প্রশ্ন তুলতে দেখা গিয়েছে ম্যাঞ্চেষ্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের একাংশকে।
Discussion about this post