রসে টইটুম্বুর নরম তুলতুলে রসগোল্লা পছন্দ করেন না এমন ব্যক্তি হাতে গোনা সংখ্যায়ও পাওয়া যাবে কি না বলা মুশকিল। এত আহ্লাদ খুব কম খাবার নিয়েই রয়েছে বাঙালিদের মধ্যে। এ যেন আত্মিক টান। বিশেষ করে ভারতের মধ্যে রসগোল্লার জনপ্রিয়তা একেবারে আকাশছোঁয়া। তবে জনপ্রিয় এই মিষ্টির কারণে ঘণ্টার পর ঘন্টা রেল অবরোধ! ভাবতে পারেন? হ্যাঁ, এমনই এক আশ্চর্যকর ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহারের লক্ষ্মীসরাই অঞ্চল। কেবল রসগোল্লা যাতায়াতের পথ মসৃনের জন্য ৪০ ঘন্টার বেশি সময় ধরে ট্রেন আটকে দিলেন এই অঞ্চলের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। আর দুর্ভোগ পোহালেন যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, এমন ঘটনার আঁচ করতে পারেননি ভারতীয় রেলসংস্থা। অন্যতম ব্যস্ত রেলপথ পাটনা-হাওড়া রুটে ৪০ ঘন্টার বেশি সময় একের পর এক ট্রেন বাতিল করতে হয়েছিল তাদের। হয়রানির শিকার হয় যাত্রীরাও। কিন্তু কেন এই অবরোধ! আসল কথা হল লক্ষ্মীসরাইয়ের রসগোল্লার দেশজুড়ে বেশ নামডাক রয়েছে। অনেক জায়গাতেই এর চাহিদা রয়েছে তুঙ্গে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিতে প্রচুর পরিমাণে এই সুস্বাদু রসগোল্লা পাঠানো হয়। এখানকার মিষ্টি ব্যবসায়ীদের রুটিরুজির বেশিরভাগটা আসে এর মাধ্যমেই। কিন্তু তাদের দাবি, বারিয়ারপুর রেলওয়ে স্টেশনে বেশিরভাগ এক্সপ্রেস ট্রেন থামে না। যার দরুণ রোজ বিপুল সংখ্যক মিষ্টি তৈরি হলেও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে প্রচুর ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। তাই ব্যবসার সুবিধার্থে এবং স্টেশনে নির্ধারিতভাবে বেশকিছু ট্রেন থামানোর দাবিতে তারা বারিয়ারপুর স্টেশনে মিলিত হয়েছেন। সঙ্গে যুক্ত দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অবরোধ করেন তারাও।
শেষমেষ স্থানীয় প্রশাসনের তরফে তাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়। অবরোধের জেরে এই স্টেশনে বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন থামানোর একটি লিখিত আশ্বাস দিয়েছে তারা। ফলে আশার আলো দেখে খুশি ব্যবসায়ী ও রসগোল্লা কারিগররা বিক্ষোভ তুলে নেন। তারপরেই এই রুটে পুনরায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
Discussion about this post