প্রতীকী ছবি
১২ই আগস্ট ভোর পৌনে পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে জন্ম হয়েছিল তিন ছোট্ট ছানার। চিকিৎসকরা নিয়মিত তাদের পরিচর্যা চালিয়ে গিয়েছেন। শিলিগুড়ি বেঙ্গল সাফারি তাদের আসার প্রতীক্ষায় ছিল অনেক কটা দিন। কি অবাক হলেন তো? আরে মশাই বলছি তো দ্য গ্রেট রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের কথা। মা বাঘিনী শীলা এখন বেশ সুস্থ। ছানাদের নিয়ে দিব্যি শীতের রোদ পোহাচ্ছেন। সাফারির মানুষরা এই সুখবরে বেজায় খুশি।
ওডিশার নন্দনকানন থেকে প্রথম বেঙ্গল সাফারি পার্কে ঘর বাঁধে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার শীলা ও স্নেহাশিস। তাদের প্রথম সন্তান রিকা ও কিকা বেঙ্গল সাফারিতেই বেড়ে উঠেছে। তারপর স্নেহাশিস চলে যায় আলিপুর চিড়িয়াখানার বাসিন্দা হয়ে। তার জায়গায় আসে ভিবান। আর তার সাথেই সন্ধি হয় শীলার। প্রজনন চক্র অনুযায়ী ১১০ দিনের চেয়ে কিছু আগেই প্রসব হয়েছে তিন বাঘ ছানার। যদিও পাঁচমাসে তারা লম্ফঝম্ফটা বেশ আয়ত্ত করেছে। তাদের খুনসুটিতে চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার দশা পর্যটকদের। এদের এখনও নামকরণ হয়ে ওঠেনি। লিঙ্গ নির্ধারণও বাকি পড়ে। সবাই উৎসবী মেজাজে মেতেছে তিনিটি বাঘের শাবক পেয়ে।
বেঙ্গল সাফারির বর্তমানে ঝোঁক বেড়েছে বাঘের কৃত্রিম প্রজনন সম্ভব কিনা সেই গবেষণায়। রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের প্রজনন ঘটিয়ে ভবিষ্যতে বাঘ প্রজনন সেন্টার হিসেবে বেঙ্গল সাফারি পার্ক বানাতে চান বনকর্তারা। উত্তরবঙ্গে বেড়াতে যাওয়া মানুষের চটজলদি ঘোরার তালিকায় ঢুকেই পড়েছে এই বেঙ্গল সাফারিটি। রয়েল বেঙ্গল টাইগার বর্তমানে প্রায় অবলুপ্তির পথে। তাই বিশেষ সচেতন হয়ে পড়েছেন বনকর্তারা। চলছে বাঘেদের বিশেষ যত্ন ও আদর।
Discussion about this post