‘ধর্ষণ’ এখানে সামাজিক প্রথা। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। শুনতে অবাক লাগলেও কথাটা একদমই সত্যি মিশরীয়দের ক্ষেত্রে। যার পোশাকি নাম ‘তাহারুশ জামাই’। প্রকাশ্যে গণধর্ষণের এই রীতিকে ডাকা হয় এই নামেই। এখনও পর্যন্ত অসংখ্য নারী এই নৃশংস বর্বরোচিত প্রথার শিকার। ২০২০ তে দাঁড়িয়ে যেখানে ধর্ষণ একটি ন্যক্কারজনক বিষয়, সেখানে কিছু কিছু দেশে বিশেষতঃ মিশরে মহাসমারোহে পালিত হয় এই ধরনের বিকৃত যৌন প্রথা। জনতার সামনে একাধিক পুরুষ মিলে এক নারীর ওপর যৌন নির্যাতন চালায়। যাকে কথ্য ভাষায় বলা হয় ‘তাহারুশ জামাই’ কিংবা ‘ধর্ষণ খেলা’।
মিশর সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই প্রথার প্রচলন আছে। যার ফলে শারীরিক নির্যাতন এবং ধর্ষণের স্বীকার হয় নারীদের। যা বর্তমানে সামাজিক ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে পড়েছে ইউরোপ জুড়ে। আবার আফ্রিকার গণ্ডি ছাড়িয়ে ‘তাহারুশ’ তার কালো থাবা বসিয়েছে ইউরোপেও। ভাবতেই অবাক লাগে জার্মানির মতো দেশেও এরকম হীন মানসিকতার কাজকর্ম চলে। প্রথম খবরটা জানাজানি হয় জার্মান পুলিশের তৎপরতায়। তদন্তের পর তারা জানায় বিভিন্ন সময় আরব দেশ থেকে ইউরোপের দেশগুলিতে আসে আরবের মানুষজন। আর তাদের সাথে সাথেই রোগ-জীবাণুর মত বয়ে এসেছে এই নোংরা মানসিকতা। যা গ্রাস করেছে ইউরোপের শিক্ষা-সংস্কৃতি এবং ইউরোপীয়দের। মানসিক ব্যাধি আসলে শারীরিক ব্যাধির থেকেও মারাত্মক যা ছড়িয়ে পড়তে বিন্দুমাত্র সময় লাগে না। তার সব থেকে বড় নিদর্শন ‘তাহারুশ’। বিশ্ব এতো উন্নতির শিখরে পৌঁছলেও এই ধরনের আদিম প্রথা যখন মানুষকে একটু একটু করে গ্রাস করে তখন সত্যিই রবি ঠাকুরের কথাই মনে পড়ে। “আমি ছেড়েই দিতে রাজি আছি সুসভ্যতার আলোক, আমি চাইনা হতে নব বঙ্গের নবযুগের চালক।”
Discussion about this post