শুরু হয়েছে ভ্যালেন্টাইন সপ্তাহ। আর এই সপ্তাহের তৃতীয় দিন মিষ্টি একটা দিন মানে চকলেট ডে। আট থেকে আশি – সবরকম বয়সেই চকলেট পছন্দ করেন না এমন মানুষ ভূ-মন্ডলে বেশ কম সংখ্যাতেই রয়েছে। ছোটোবেলায় টিভির কার্টুন চ্যানেলগুলোতে রূপকথার চকলেটের দেশের সাক্ষী থেকেছি আমরা অনেকেই। মনে হতো না ইস! যদি সত্যি এমন একটা দেশ পৃথিবীতে পেতাম? না এমনটা হয়তো সত্যি হবার নয়। কিন্তু যদি শোনেন যুদ্ধের বোমা বা মিসাইলের বৃষ্টি নয়, গুঁড়ো গুঁড়ো চকলেটের বৃষ্টিতে ঢেকেছে শহর, তাও কি বিশ্বাসযোগ্য? মন বলছে তো যে, ধুর! এসব আবার হয় নাকি? কিন্তু একসময় এমনই এক অভাবনীয় কাণ্ডের সাক্ষী থেকেছিল সুইজারল্যান্ডের ওল্টেন শহরে লোকজন। কিন্তু ঘটনাটি কী?
২০২০ সালের আগস্ট মাসের একদিন। রাস্তায় মানুষজন চলছে নিজের খেয়ালে। হঠাৎ করেই আকাশ থেকে খয়েরি রঙের গুঁড়ো গুঁড়ো কিছু একটা ঝরে পড়ছে বৃষ্টির মত। ঝরে পড়ছে বাড়িঘর, রাস্তাঘাট সব জায়গায়। সাদা চাদরের ওপর খয়েরি গুঁড়ো পড়ে বরফে মোড়া এলাকাগুলি নিল এক অদ্ভুত রূপ। এই বৃষ্টি রীতিমত হৈচৈ ফেলে দেয় সারা শহরে। কিছুক্ষণ পরে বোঝা গেল ওই গুঁড়ো আসলে আর কিছুই নয়, চকলেট তৈরির মূল উপাদান কোকোয়া গুঁড়ো। সেই গুঁড়োতে এক নিমেষে ছেয়ে গেল ওল্টেন শহর ও পারিপার্শ্বিক এলাকাগুলো।
আসলে চকলেট তৈরির প্রাথমিক উপাদান কোকোয়াকে শুকনো করে গুঁড়িয়ে নেওয়া হয়। যার পাউডার চকলেটের কারখানাগুলি নিজেরাই করে নেয়। আর সেখানেই হয় গন্ডগোলের সূচনা! সুইজারল্যান্ডের একটি বিখ্যাত চকলেট কোম্পানি হল লিন্ড অ্যান্ড স্প্রুয়েঞ্জলি। সেই কোম্পানিরই স্থানীয় একটি কারখানার ভেন্টিলেশন সিস্টেমে সমস্যা হয়েছিল সেদিন। ব্যস! গুঁড়ো করে রাখা কোকোয়া প্রবল হাওয়ার দাপটে কারখানা থেকে বেরিয়ে আশপাশে ছড়িয়ে পড়তে থাকল। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছিল রূপকথার মত বাস্তবেও চকলেট বৃষ্টির। আর সেই বৃষ্টির সাক্ষী থেকেছিল গোটা ওল্টেন শহরবাসী।
Discussion about this post