পায়ে পায়ে এগারো। তবে ফুটবল নিয়ে যে বলছি না সেটা আশা করি প্রতিবেদনের শিরোনাম দেখেই আন্দাজ করে ফেলেছেন। আজ্ঞে হ্যাঁ, একটু অন্যভাবে বললে ঘর সাজানোর দিগন্ত জুড়ে এক অন্য সূর্যের নাম এই মুহূর্তে সানশাইন এন্টারপ্রাইজ। বেশ কিছু কারণে তাঁদের কাজ এই প্রতিযোগিতার বাজারে ইদানিং আলোচনায় উঠে আসছে। কিন্তু কেন তাঁরা আলাদা? কোথায় তাঁরা আলাদা? সেটা জানতেই ডেইলি নিউজ রিল পাড়ি দিয়েছিল সানশাইনের অন্দরমহলে।
সংস্থার কর্ণধার রবিশঙ্কর ঘোষের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানা গেল সংস্থাটির অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্যের কথা। ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনের জগতে প্রচুর সংস্থা রয়েছে যারা ন্যায্য মূল্যে সঠিক গুণমানের পরিষেবা দিয়ে থাকেন। তাহলে এই প্রতিযোগিতার ভিড়ে কোথায় আলাদা সানশাইন এন্টারপ্রাইজ? আমাদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, যথেষ্ট ভালো গুণমানের প্রোডাক্ট পাওয়া যাবে। সঠিক সময়ের মধ্যে ক্রেতারা ন্যায্য দামে তাঁর পছন্দের পরিষেবা এ ক্ষেত্রে পেতে পারেন। তিনি আরও জানান, তাঁদের ‘আফটার সেল সার্ভিস’ ৭২ ঘণ্টার ,মধ্যেই তৎপরতার সঙ্গেই তাঁরা করে থাকেন। তাঁর ভাষায়, “ক্লায়েন্টের ছোট ছোট পছন্দ-অপছন্দগুলিকেও আমরা গুরুত্বের সঙ্গে খেয়াল রাখি।” অন্যান্য সংস্থা ১০০% পেমেন্ট নিয়ে ডিজাইন দেখায়। আমরা সেখানে ডিজাইন দেখিয়ে সেই খরচ নিলেও ফাইনাল কাজের বিলের সঙ্গে ডিজাইন গবেষণার পারিশ্রমিক ৫০% ছাড় দিচ্ছি। বড় বাজেটের কাজের ক্ষেত্রে ডিজাইনের খরচটা পুরোপুরি অফ করে দেওয়া হয়। আমাদের বাইরে থেকে ভাড়া করা নয়, ইন হাউজ আর্কিটেক্ট রয়েছে। এখানেই আমরা এগিয়ে। একজন ক্লায়েন্টের ডিজাইন অন্য ক্লায়েন্টকে দেখাই না।
পারিশ্রমিকের ক্ষেত্রেও সানশাইন দিয়ে থাকে সুচিন্তিত ভাবনার নিদর্শন। ডিজাইন ফাইনাল হওয়ার পর সেটার খরচ ধরে তাঁর ওপর সম্পূর্ণ পরিষেবা মূল্য ঠিক করা হয়। মোটামুটি টু বিএইচকে ফ্ল্যাট এই সংস্থা ৬ লক্ষ টাকায় প্রস্তুত করে দিতে পারে ক্লায়েন্টের মনের মতো করে। ৫০ স্কোয়ার ফুট কিচেনের ক্ষেত্রে বাজেট শুরু ১ লাখ থেকে। তাছাড়া কেউ যদি শুধু প্লাস্টার করা গোটা ফ্ল্যাটের সব দায়িত্ব সানশাইনের হাতে দিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে চান সেই উপায়ও রয়েছে বৈকি! সেক্ষেত্রে প্রতি স্কোয়ার ফুট ৪০০০ টাকা দরে খরচ পড়বে। প্রোডাক্টের গুণমানের ওপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে। এই বিষয়ে রবিশঙ্কর জানান, “আমাদের মেটেরিয়াল এমআর, বিডব্লিউআর, বিডব্লিউপি, মেরিন। এই চারটি কোয়ালিটির প্লাই আমরা দিয়ে থাকি। একটা রুমে কতোটা কাজ হচ্ছে তার ওপরেও পারিশ্রমিক নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে ৭ লাখের বদলে ৪ লক্ষ টাকাতেও নেমে আসতে পারে খরচ। তবে ৭ লাখের ক্ষেত্রে সব ব্র্যান্ডেড মেটেরিয়াল আমরা ব্যবহার করব যার গুণমানে বিন্দুমাত্র আপস হবে না। তাছাড়া আমাদের ফ্রি সার্ভিস রয়েছে ১ বছর এবং প্রোডাক্টের গ্যারান্টি ২ বছর।”
রবিশঙ্কর ঘোষ এবং তাঁর সংস্থা কম দামে ভালো কাজ করে দেওয়া যায় সেই দর্শনে একেবারেই বিশ্বাস করেন না। তাই ঠিক সস্তায় সস্তার কাজ নয়, বরং কোয়ালিটি কাজ তাঁরা করেন ন্যায্য দামে। আর তাই শুধু বাড়িই নয়, সেলিব্রিটি থেকে বাণিজ্যিক সংস্থা; অফিস থেকে সরকারী প্রতিষ্ঠান সব জায়গায় সানশাইনের সূর্যের ছটা বিকিরিত হয়েছে। তাঁদের কাছে কাজটাই ধর্ম, সেটার ছোট-বড় দেখেন না। তাই নিজেদের কাজের নতুনত্বকে পুঁজি করেই গোটা বাংলা তথা দেশে ছরিয়ে পড়ছে কলকাতার সানশাইন এন্টারপ্রাইজ।
Discussion about this post