‘ভূমি’র এক জনপ্রিয় গানের কথা ধার নিয়ে বলতে হয়, এসএসসি’র দেখা নাই রে, এসএসসি’র দেখা নাই। প্রতিবছর প্রায় লাখ লাখ ছাত্র বিএড পাশ করে কার্যত ঘরে বসে আছে, অথচ দীর্ঘ ৫ বছরের উপর বন্ধ স্টাফ সিলেকশন কমিশন বা এসএসসি পরীক্ষা। করোনায় আক্রান্তের সংখ্যার মতোই পাল্লা দিয়ে রাজ্যে বেড়ে চলেছে শিক্ষিত বেকার যুবর সংখ্যা। দিনের পর দিন প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই করছে না রাজ্য সরকার, এমনটাই দাবি বিক্ষোভকারীদের।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন এসএসসি বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ অবস্থানে সামিল হয়েছেন রাজ্যের বেকার যুবকদের গোষ্ঠী ওয়েস্ট বেঙ্গল এসএলএসটি ক্যান্ডিডেটস অ্যাসোসিয়েশন এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল টিচার্স জব ক্যান্ডিডেটস অ্যাসোসিয়েশন। তাদের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে পুজো হওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা বহাল থাকলেও, মহামারীর দোহাই দিয়ে পিছিয়েই যাচ্ছে নিয়োগ। এদিকে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন বুকে নিয়ে লাখ লাখ চাকরিপ্রার্থী অন্ধকারে গুমরে মরছেন।
এসবের প্রতিবাদেই রাস্তায় নামলেন শিক্ষিত বেকার যুবর দল। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। “আগে চাকরি পরে ভােট, বেকার যুবক যুবতী বাধো জোট” স্লোগানকে সামনে রেখে তাদের স্পষ্ট দাবি, অক্টোবর ২০২০-র মধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নবম থেকে দ্বাদশের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। সমস্ত আপডেটেড শূন্যপদে নিয়োগ করা। শুধুমাত্র বিষয়ভিত্তিক এবং এমসিকিউ’র মাধ্যমে পরীক্ষা নিয়ে নিয়োগে দীর্ঘসূত্রতার অবসান ঘটানো। সম্পূর্ণ দুর্নীতিমুক্ত করতে প্রতিটি পরীক্ষার্থীকে ওএমআর শিটের কার্বন কপি দিতে হবে। প্রতি বছর যাতে এসএসসি হয়, তার জন্য আদর্শ রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। তাঁদের এই চোয়াল চাপা লড়াই কতোটা সফল হবে তা হয়তো পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে আগামী কিছু দিনেই।
Discussion about this post