এই মুহূর্তে এটিই হল টুইটারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হ্যাশট্যাগের মধ্যে অন্যতম। শিক্ষা এবং চাকরি ব্যবস্থায় সরকার গুরুত্ব দিতে নারজ, সে কারণেই ভারতীয় যুব সমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভারতীয় রেলের চাকরির পরীক্ষা ও এসএসসি রেজাল্ট বের করতে দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের টালবাহানা জেরেই এই আচমকা বিস্ফোরণ নেট দুনিয়ায় বলে মনে করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক জেইই বা নিট পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যে ক্ষোভ জমেছিল যুবসমাজের মনে, তা কদিন আগেই দেখা গিয়েছে ইউটিউবে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে ডিজলাইকের সংখ্যায়। করোনা পরিস্থিতিতেও সরকার সারা দেশের প্রতিবাদে কান না দিয়ে এই পরীক্ষা করবার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার প্রশ্ন উঠলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ এবং তাদের অভিভাবকদের চাপে পড়েই নাকি এই পরীক্ষা নিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার। যদিও ছাত্র-ছাত্রীদের অতি মাত্রায় প্রতিবাদ অন্য কথাই বলছে।
ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে পরীক্ষার্থীদের। যে পরীক্ষাটির ফলাফলকে কেন্দ্র করে এত বিতর্ক, স্টাফ সিলেকশন কমিশন সেই সিজিএল পরীক্ষাটির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল ২০১৮ সালে। প্রথম এবং দ্বিতীয় স্তরের পরে ২০১৮ সালে হয়ে গিয়েছিল তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষাটিও। কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পদে ১১,০০০ শূন্যপদ পূরণ হওয়ার কথা ছিল এর মাধ্যমে। কিন্তু তারপরে ১৮ মাস কেটে গেলেও কোনো উচ্চবাচ্য শোনা যায়নি সরকারের তরফে। স্বাভাবিকভাবেই প্রথমে হতাশা এবং সেটাই পরিণতি নিয়েছে ডিজিট্যালি বিক্ষোভে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে রেল মন্ত্রক জানিয়েছিল, এনটিপিসি ও গ্রূপ ডি পরীক্ষাটির মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০২০ সালের মে মাস থেকে। এমনকি ২০২১ সালের জুলাই আগস্ট মাসের মধ্যে নিয়োগ সম্পূর্ণ হবে ৯৯ হাজার শূন্যপদে। কিন্তু প্রতিশ্রুতিই সার। নিয়োগ তো দূর অস্ত, এখনও পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ডই প্রকাশ করা হয়নি এই প্রক্রিয়াটির।
Discussion about this post