সোশ্যাল মিডিয়ায় ইদানীং এক নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এক শিল্পীর বানানো কোনও শিল্পকর্ম চুরি করে অন্যের অথবা নিজের নামে চালানো। আজকাল এটা বেশ ‘ট্রেন্ডিং’ই বলা চলে প্রায়। এরকমই এক নজির মিলল ফেসবুক এবং ইউটিউবের পর্দায়। একদল গুণী শিল্পীদের যত্ন করে বানানো একটি আস্ত ‘শর্ট ফিল্ম’ বা স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি চলচ্চিত্র চুরি করে নিজের নামে চালাচ্ছেন এক উঠতি অভিনেতা। মূল ফিল্মটির কলাকুশলীদের অনুমতি না নিয়ে বা তাদের কোনও রকম প্রাপ্য সম্মান না জানিয়েই অভিনেতাটি এমন কাজ করেন বলেই অভিযোগ।
বছর দুয়েক আগে ২০১৮’র ১৪ অগাস্ট, ‘ড্রিমলাইন ফিল্মস প্রোডাকশন’ নামক একটি ছোট হাউসের তরফ থেকে মুক্তি পায় স্বল্প দৈর্ঘ্যের এক চলচ্চিত্র ‘মুক্তধারা’। আগত স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যেই চলচ্চিত্রটি ইউটিউবের মাধ্যমে দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি রাকেশ সরকার নামে উঠতি অভিনেতাটি সেই চলচ্চিত্রটি চুরি করে নেন। এরপর নিপুণ হাতে সেটির সম্পাদনা করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তার একঝলক টিজার প্রকাশ করেন। আসল প্রোডাকশন হাউসের নাম সহ পরিচালক এবং বেশিরভাগ কলাকুশলীর নামই সেখানে বদলে দেওয়া হয়েছে।
সেই চলচ্চিত্রটি এ বছর স্বাধীনতা দিবসে নিজের ইউটিউব চ্যানেল থেকে মালদহ’র একটি চ্যানেলে প্রকাশও করতে চলেছেন রাকেশ। প্রসঙ্গত, ফেসবুকে রাকেশের নামে একটি সক্রিয় প্রোফাইলও রয়েছে৷ যেখানে লেখা রয়েছে তিনি ‘জি বাংলা’ চ্যানেলের একজন অভিনেতা। সেই প্রোফাইলেও নতুন চলচ্চিত্রটির বিজ্ঞাপন দেন তিনি।
গোটা ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই বেশ ক্ষুব্ধ মূল চলচ্চিত্রটির প্রযোজক শুভঙ্কর হালদার। ‘ডেইলি নিউজ রিল’কে তিনি জানান তাঁর প্রতিক্রিয়া, “একটা শর্টফিল্ম তৈরীর পেছনে কত মানুষের ভূমিকা থাকে সেটা হয়তো কিছু মানুষের জানা নেই। ‘শর্টকার্ট প্রসেস’ ব্যবহার করে, সম্পাদনা করে অন্যেরটা নিজের নামে চালালেই পরিচালক হওয়া যায়না, ‘স্ক্রিপ্ট’ও তৈরী করা যায়না।” তিনি আরও বলেন, এ ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্য প্রত্যেকের উচিৎ সতর্ক থাকা৷ এবং এই ঘটনার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি শুভঙ্কর বাবু সবাইকে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাঁর পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন। অভিযুক্ত রাকেশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যেই তিনি নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ডি-অ্যাক্টিভেট করে দিয়েছেন।
Discussion about this post