একুশ শতকে এসেও মেয়েদের ওপর রয়েছে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা। কখনো তা পোশাকের ক্ষেত্রে আবার কখনো সাজগোজের ক্ষেত্রে। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়াতে ‘টাইট ফিটিংস’ জামাকাপড় পড়া নিষিদ্ধ হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এমন বহু জায়গা রয়েছে যেখানে অদ্ভুত সব নিয়মকানুনের খোঁজ মেলে। এবার সেই তালিকায় নতুম সংযোজন বিশ্বের অন্যতম এগিয়ে থাকা দেশ- জাপান। অবাক হচ্ছেন? এখনও অবাক হওয়ার অনেক বাকি। মেয়েদের পনিটেইল হেয়ারস্টাইল নাকি ছেলেদের যৌন উত্তেজনাকে বাড়িয়ে তোলে। এই অজুহাতে জাপানের স্কুলগুলিতে মেয়েদের পনিটেইল হেয়ারস্টাইলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একদম ঠিক পড়েছেন! ‘মর্ডান যুগে’ এটাও সম্ভব।
কেবল এই হেয়ারস্টাইল নয়, জাপানের বহু স্কুলে পড়ুয়াদের মেক আপ, স্কার্ট বা মোজার দৈর্ঘ্য সবকিছু নিয়েই কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। তাতেই নতুন সংযোজন পনিটেইল হেয়ারস্টাইল। পনিটেল করলে মেয়েদের ঘাড় দেখা যায়। তাতেই নাকি ছেলেদের মধ্যে যৌন উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে। এই আশঙ্কা করেই জাপান স্কুল কতৃপক্ষ মেয়েদের পনিটেল করাকে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করলো। জাপানের সাবেক মিডল স্কুল শিক্ষক মোতোকি সুগিয়ামা এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “এরকম উদ্ভট সব নিয়মকানুন জাপানের স্কুলগুলিতে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। শিক্ষার্থীরাও বাধ্য হয়েছে সেসব মেনে নিতে।”
২০২০ সালেই একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ফুকুয়োকায় প্রতি ১০টি স্কুলের মধ্যে একটিতে ঝুঁটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। আবার সেই সালেরই এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাপানের প্রতি দশটি স্কুলের একটিতে পনিটেইলের মতো এরকম উদ্ভট নিয়মকানুন জারি করা হয়। জাপানের স্কুলগুলিতে বছরের পর বছর ধরে এরকম অদ্ভুত সব বাধানিষেধ চলে আসছে। আমরা বর্তমানে প্রত্যেকেই নিজেদের স্বাধীন বলে ঘোষণা করি। তবে এইধরনের বাধানিষেধের পরেও নিজেদের স্বাধীন বলা চলে কি?
Discussion about this post