শ্রীরামপুরের সম্রাট রেস্টুরেন্টে যাননি এরকম মানুষ শ্রীরামপুর ও তার পাশ্ববর্তী অঞ্চলে একজনও নেই। আশির দশকের নস্টালজিয়া যে রেস্টুরেন্টের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজও ‘সম্রাট’ সমানভাবে জায়গা করে নিচ্ছে জেনারেশন ওয়াইয়ের কাছেও। সম্রাটের বর্তমান কর্ণধার অভিজিৎ শেঠ একদিন রোজকার মতোই টেবিলের খবর নিচ্ছিলেন, তখনই জানতে পারেন বাচ্চাদেরও সম্রাট রেস্টুরেন্ট কতটা প্রিয়। বাবা-মা অন্য কোথাও সন্ধ্যে কাটাতে চাইলেও বাড়ির খুদেটির ইচ্ছায় তাদের বারবার আসতে হয় এই রেস্তোরাঁতেই। তখনই অভিজিৎ বাবু ভাবেন নতুন বছরে এই খুদেদের জন্য একটি সন্ধ্যা তিনি সাজিয়ে দেবেন মনের মতো খেলা আর খাওয়া দাওয়ায়। এটিই হবে সম্রাটের পক্ষ থেকে খুদে বন্ধুদের জন্য তাঁর উপহার।
এই পদক্ষেপ নেওয়ার পিছনে শুধুমাত্র যে আনন্দটুকু লুকিয়ে তা নয়। আসলে এই পদক্ষেপ একটা সূচনা মাত্র। সূচনা এই প্রজন্মের ৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের সামাজিক মেলামেশার ইচ্ছাকে আরও বেশি উস্কে দেওয়া। বর্তমানে মনোবিজ্ঞানী থেকে শিশু বিশেষজ্ঞ প্রত্যেকেই বলেন শিশুর বেড়ে ওঠার পথে এই ‘একলা চলো রে’ নিউক্লিয়ার পরিবারের যাপনের প্রভাব খুব বেশি। বলাই বাহুল্য এই প্রভাব সদর্থক অর্থে নয়। বাবা-মা দু’জনেই কর্মরত, ব্যস্ত বাচ্চাকে সময় দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই থেকে যাচ্ছে কিছুটা ফাঁক। স্কুলের গণ্ডিতে বন্ধুত্ব হলেও শুধুমাত্র আনন্দ আড্ডার পরিসর কি তারা পায়? এই সমস্ত কারণেই শ্রীরামপুরের সম্রাট বাচ্চাদের জন্য আয়োজন করেছে বেবিজ ডে আউট সন্ধ্যা।
এই সন্ধ্যায় থাকছে এক ঘণ্টার দারুণ সব মজার খেলা। বাচ্চাদের পছন্দের মেনু দিয়ে সাজানো একটি ফুড প্যাকেট তাদের প্রিয় কার্টুন চরিত্রদের সঙ্গে হবে সামনা সামনি আলাপ। বাচ্চা ও অভিভাবকের জন্য থাকবে ওয়েলকাম সেলিব্রেশন এবং একাধিক আকর্ষণীয় উপহার। এই অনুষ্ঠানে প্রবেশমূল্য রাখা হয়েছে ৪৯৯ টাকা, শর্তাবলী প্রযোজ্য। প্রবেশের শেষ সময় রাত ৯ টা। প্রতি শিশুর সঙ্গে আসতে পারবেন একজন অভিভাবক।
Discussion about this post