প্রকৃতির তান্ডবলীলার পরে কেটে গেছে চার চারটে দিন। তবুও স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। কোথাও পড়ে রয়েছে গাছ তো কোথাও ঝড়ের তাণ্ডবে উড়ে গিয়েছে ঘরের চাল। ঘরে মজুত করা খাবারও ভেসে গিয়েছে বৃষ্টির জলে। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার বাসিন্দারা। সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও মেদিনীপুর জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। করোনার পর আমফান, এই দুয়ের সাঁড়াশি আক্রমণে কারযতঃ বিধ্বস্ত সাধারণ মানুষ। আবারও এই পরিস্থিতিতে ভরসার মুখ হয়ে উঠল QSYN
লকডাউনের পর থেকেই বিভিন্ন সময় অসহায়ের সহায় হয়ে এগিয়ে এসেছে কোয়ারেন্টাইনড স্টুডেন্টস ইয়ুথ নেটওয়ার্ক। ইতিমধ্যেই তাঁরা সমাজের প্রান্তিক তথা ‘দিন আনি দিন খাই’ মানুষের মুখে তুলে দিয়েছে দু’মুঠো খাবার। এবার আমফানের বিপর্যয়ের পরেও ঘটল না ব্যতিক্রম। বিধ্বস্ত রাজ্যবাসীর পাশে থাকতে সাধারণ ছাত্র-যুবরা ফের ময়দানে। ইতিমধ্যেই তাদের বেশ কয়েকটি দল পৌঁছে গিয়েছে পাথরপ্রতিমা, হাওড়া, নন্দীগ্রাম, মন্দারমণি, হলদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায়। ছাদ হারানো মানুষদের বাঁচার জন্য তুলে দেওয়া দিচ্ছে ত্রিপল। নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস হিসেবে তুলে দেওয়া হচ্ছে চাল, ডাল, আলু, সয়াবিন, তেল, গুঁড়ো-দুধ, সাবান, সার্ফ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি।
QSYN-এর তরফে ‘ডেইলি নিউজ রিল’কে জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় ৫০০ টি ঘরবিহীন পরিবারের হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তারা। আগামী দিনে প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিতে তাদের আরও কিছু দল পৌঁছে যাবে হিঙ্গলগঞ্জ, গঙ্গাসাগর সহ আরও বেশ কিছু জায়গায়। এভাবেই অসহায়দের পাশে থেকে তাঁরা সত্যি করে চলেছেন মৌসুমী ভৌমিকের লেখা সেই গান। “আমি শুনেছি তোমরা নাকি, এখনও স্বপ্ন দেখ, এখনও গল্প লেখ গান গাও প্রাণ ভরে। মানুষের বাঁচা মরা এখনও ভাবিয়ে তোলে, তোমাদের ভালোবাসা এখনও গোলাপে ফোটে।”
Discussion about this post