বিশ্বজুড়ে মহামারী আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। এই নতুন ভাইরাস কী ধরণের প্রভাব ফেলতে পারে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল। বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের উপর এই ভাইরাস ঠিক কি প্রভাব ফেলতে পারে তার সদুত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। তবে এই সময় গর্ভ সঞ্চারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ‘ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ হিউম্যান রিপ্রোডাকশন এন্ড এমব্রায়োলজি’। গাইডলাইন অনুযায়ী, যে দম্পতির বন্ধ্যাত্ব নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন অথবা যেসব দম্পতি এই চিকিৎসা করাচ্ছেন, তাদের কিছুদিনের জন্য চিকিৎসা বন্ধ রাখার নিদেন দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে যাদের এই ধরণের চিকিৎসা শুরু হয়ে গেছে তাদের আপাতত কিছুদিনের জন্য তা বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে। বরং কিছুদিনের জন্য সেই ‘এমব্রায়ো’ বা ভ্রুণটিকে সঠিক ভাবে সংরক্ষিত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, যেহেতু এটা একেবারেই নতুন একটি ভাইরাস, তাই গর্ভবতী মহিলাদের ওপর তা কেমন প্রভাব ফেলবে এখনও জানা যায়নি। এই ভাইরাস মায়ের থেকে তার গর্ভের সন্তানের মধ্যে স্থানান্তরিত হতে পারে কিনা বা সেই কারণে শিশুর কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে কিনা সে ব্যাপারেও কিছু হদিশ মেলেনি এখনও। সাধারণতঃ গর্ভবতী মহিলাদের হালকা বা একটু বেশি মাত্রায় ঠান্ডা লাগা বা সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা দেয়। তাই অন্যান্য মহিলাদের তুলনায় তাদের যে কোনও সংক্রমণের আশংকাও অনেক বেশি থাকে। আর যদি কারও হার্ট বা ফুসফুসের সমস্যা থাকে, তাহলে ভাইরাস সংক্রামিত হলে জটিলতা আরও বেড়ে যায়। তাই এই সম্পর্কে সচেতন থাকাই মঙ্গল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। বরং কিছুদিন পর গর্ভধারণের কথা ভাবা যেতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত করোনা সংক্রমণে কোনও গর্ভবতী মহিলার অসুস্থতা বা মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
তথ্য ঋণ – ডক্টর’স ডায়লগ
Discussion about this post