“ভালোবাসা চিনতে শেখাক মিথ্যা নিয়ম-নীতি, মননের জড়তা ভাঙুক শিকল ছিঁড়ুক, জিতে যাক প্রেমের অনুভুতি।” বাসাহীন বাবুইয়ের সেই স্বপ্নের কুঁড়িই যেন ফুটল বাস্তব হয়ে। বাংলাদেশের অধ্যাপিকা জীবন সঙ্গী হিসেবে বেছে নিলেন ১৮ বছরের ছোট কলেজ পড়ুয়া প্রেমিককে। প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন বাংলাদেশের নাটোরের সহকারী অধ্যাপিকা খাইরুন নাহার। এরপর সন্তান নিয়ে একাকিত্বের সঙ্গে যুদ্ধ। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে খাইরুন নাহারের নিঃসঙ্গ জীবনে পরিচয় হয় স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ২২ বছর বয়সী মামুনের।
এরপরের গল্পটা দু’জনের বন্ধুত্ব আর ভালোবাসার,বাড়তে থাকে খাইরুন নাহার আর মামুনের ঘনিষ্ঠতার গল্প। বন্ধুত্ব থেকে ভালোবাসার গল্প । তারপর দুজন সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ের। খায়রুন নাহার বলেন, “সমাজে কে কী বলে তা বড় বিষয় নয়। আমরা দুজন যদি ঠিক থাকি, তাহলে সব ঠিক। আমার পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নেয়নি। তবে তার বাড়ি থেকে আমাদের বিয়ে মেনে নিয়েছে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ি আমাকে অনেক ভালোবাসে। আমি অনেক সুখে আছি।”
খাইরুন নাহার বাংলাদেশের নাটোরের গুরুদাসপুরের খুবজিপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপিকা এবং মামুন নাটোর এন এস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাজী অফিসে গিয়ে দুজন বিয়ে করেন।প্রচলিত সমাজে অসম বয়সী প্রেম থেকে বিয়ে অনেকেই সহজে মেনে নিতে চায় না বলেই বিয়ের খবর গোপন রেখেছিল ৮ মাস অবশেষে গত জুলাই মাসে মিডিয়ার সামনে নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্কের খবর জানান দেয় খায়রুন নাহার ও মামুন দম্পতি। মামুন বলেন, “তার স্ত্রী খায়রুন নাহার তার চেয়ে ১৮ বছরের বড় হতেই পারে তাতে সমাজের কে কী বললো তাতে তার যায় আসে না কারণ, মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারে না। খাইরুনকে বিয়ে করে আমি খুশি এবং সুখী। সবার দোয়ায় সারা জীবন এভাবেই থাকতে চাই।”
Discussion about this post