নিছকই মজা, নাকি ছদ্মবেশে কোনো অপরাধীকে পাকড়াও করাই ছিল উদ্দেশ্য? এলাকাবাসীকে ধন্দে ফেলে দিয়েছেন মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ)। ইতিমধ্যেই তাঁর কীর্তি ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। কী এমন করলেন তিনি?
অন্যান্য দিনের মতো রবিবার সকালেও বহরমপুরের লালদীঘির সামনের রাস্তায় পেয়ারা বিক্রি করছিলেন হাবিবুল শেখ। তাঁর থেকে পেয়ারা কিনে খেতে খেতেই তাঁর সঙ্গে আলাপ জমান এক ভদ্রলোক। শহরবাসীর সুবিধা-অসুবিধাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয় বেশ কিছুক্ষণ। তখনই হাবিবুল ঐ ভদ্রলোককে অনুরোধ জানান, “দাদা আমার ভ্যানটা একটু দেখুন, আমি খেয়ে আসছি।” প্রস্তাবে রাজিও হয়ে যান ভদ্রলোক। মিনিট কুড়ি পর ফিরে এসে হাবিবুল দেখেন, দিব্যি খোশমেজাজে অপটু হাতেই দাঁড়িপাল্লা ও প্যাকেট নিয়ে পেয়ারা বিক্রি শুরু করে দিয়েছেন তিনি! এরপর হাবিবুলকে বিক্রির হিসেবপত্র বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান এই আগন্তুক। ভদ্রলোক আর কেউ নন, খোদ মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) তন্ময় সরকার।
বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যেই কেউ কেউ তাঁকে চিনতে পেরে ক্যামেরাবন্দী করেন এই দৃশ্য। তা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পান হাবিবুলও। পুরো ঘটনায় অবাক হাবিবুল। তিনি জানান, এত বড় পুলিশের অফিসার এভাবে নিঃশব্দে তাঁর অনুরোধে রাজি হয়ে আবার তাঁর ভ্যান থেকে পেয়ারা বিক্রি করেছেন, এতে বেজায় খুশি তিনি। পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে প্রতিক্রিয়া জানান পুলিশ কর্তাও। তিনি বলেন, মাঝেমধ্যেই এভাবে পরিচয় গোপন রেখে এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। বহরমপুরের ট্রাফিক ব্যবস্থা এবং সাধারণ মানুষের মন বুঝতেই বেরিয়েছিলেন সেদিনও। ওই সময় ক্রেতারা যাতে ফিরে না যান, তাই দায়িত্ব নিয়ে দোকান সামলাতে শুরু করে দেন তিনি। খোদ এএসপির হাত থেকে পেয়ারা কিনে খেয়ে আপ্লুত ক্রেতারাও!
Discussion about this post