সাধারণের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অসাধারণত্ব তা আরো একবার প্রমাণ করলেন নদিয়ার পাপিয়া কর। কখনো রক্তদান শিবির, কখনো বা ফুল পাখিদের আসর। এভাবেই দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জের পাপিয়া কর এবং তার পরিবার। ২০০৮ সাল থেকে এভাবেই পথচলা শুরু হয় তাঁর। এখন তিনি অনেক মানুষের অনুপ্রেরণা। যা অনেকেই করতে পারেন না তাই করে দেখিয়েছেন এই মানুষটি। এর থেকে বেশ বোঝা যায় মানুষের কল্যাণ করতে গেলে নেতা-মন্ত্রী হওয়ার দরকার পড়ে না, সাধারণের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে অসাধারণত্ব।
২৪ ফেব্রুয়ারি রানাঘাটের মাজদিয়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকার কৃষ্ণগঞ্জের এক সাধারণ বাসিন্দা পাপিয়া কর নিজের বাড়িতেই আয়োজন করে ফেললেন রক্তদান শিবির। রক্তদান করতে প্রথমেই এগিয়ে এলেন তার স্বামী ও ছেলে। এছাড়াও এদিন মোট ২৩ জন রক্তদাতাকে নিয়ে সাফল্যের আর এক ধাপ এগিয়ে গেলেন পাপিয়া। ইতিমধ্যেই চলতি বছরের ১১ জুলাই আরো একটি শিবির আয়োজন করার পরিকল্পনা সেরে ফেলেছেন। তিনি প্রতি ৬ মাস অন্তর একটি করে রক্তদান শিবির ও বছরে ১টি করে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করবেন বলে জানিয়েছেন ডেইলি নিউজ রিলকে।
পেশায় পাপিয়া একজন গৃহকর্মী এবং একজন হস্তশিল্পী। তিনি শুধু রক্তদান শিবির, স্বাস্থ্য শিবির ছাড়াও ফুল পাখিদের আসর নামক ধর্মতলার ফুটপাতের বাচ্চাদের নিয়ে একটি স্কুল চালান। নেশাগ্রস্ত বাচ্চাদের হাতের কাজ শেখান এবং প্রদর্শনী করান। তার সামর্থ্য অনুযায়ী প্রায় ২০০ চারা রোপণ করেন। ১৫০ থেকে ২০০ গরিব মানুষদের জামা কাপড় বিতরণ করেন এবং রানাঘাট স্টেশনের কাছে প্রতিদিন না খেতে পাওয়া মানুষদের জন্য খাবারের আয়োজন করে থাকেন। তবে এসব তিনি কোন এনজিও বা কোন প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ছাড়াই করে চলেছে। তার একমাত্র আয়ের উৎস তাঁর হস্তশিল্প এবং স্বামী অমরেশ করের সাহায্য।
Discussion about this post