স্কাই-ডাইভিং! যাকে সোজা বাংলায় তর্জমা করলে দাঁড়ায় আকাশ থেকে ঝাঁপ। বিমান থেকে প্যারাসুট নিয়ে শূন্যে ঝাঁপ দেওয়ার পর মাটিতে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে প্যারাসুট খুলে নির্দিষ্ট স্থানে ল্যান্ডিং করতে হয়। সাধারণত স্কাইডাইভগুলিতে প্রায় ৪০০০ মিটার (১২,৫০০ ফুট) থেকে লাফ দিতে হয়। এটি বেশ বিপদজনক। যদিও এর জন্য নিতে হয় আলাদা ট্রেনিং।স্কাইডাইভিং ব্যক্তিগতভাবে এবং বিভিন্ন দলের সঙ্গেও করা যায়। বহু মানুষ রয়েছেন যারা এই উত্তেজনাপূর্ণ বিপদজনক কাজে পারদর্শী। তাদের মধ্যে একজন ডিলিস প্রাইস অতি সম্প্রতি মারা গেলেন, রেখে গেলেন ১১৩৯ টি ডাইভিংয়ের স্মৃতি। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
সবচেয়ে বয়স্ক মহিলা,যিনি একক প্যারাসুট জাম্পের গিনেস বিশ্বরেকর্ড ধারক ছিলেন। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ ডিলিস প্রাইস ৮০ বছর বয়সে ২০১৩ সালে তার একক স্কাইডাইভ রেকর্ড অর্জন করেছিলেন। তাঁর ৫৪ বছর বয়সে প্রথম লাফটি দেন। তার পরের যাত্রাপথ অবশ্য ইতিহাসে মোড়া। যদিও প্রথম লাফ দেওয়ার আগে তিনি উচ্চতা নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। পরে তিনি বলেন, “এটি ছাড়া জীবন কল্পনা করতে পারবেন না।” প্রতিবন্ধীদের জন্য শিল্প ও সৃজনশীল আন্দোলনের কর্মসূচী আয়োজন করতে তিনি টাচ ট্রাস্ট চ্যারিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৮৬ বছর বয়সে তিনি তার প্যারাশুট বিক্রি করেছিলেন, তবে প্রাক্তন ওয়েলস রাগবি তারকা গ্যারেথ থমাসের সাথে ফের স্কাই-ডাইভ শুরু করেন।
২০০৩ সালে বিশেষ প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের সেবার জন্য তাকে ওবিই পুরষ্কার দেওয়া হয়। ২০১৭-তে প্রাইড অফ ব্রিটেন পুরস্কারে তার কাজ সম্মানিত হয়েছিল। ২০১৮ সালে তিনি প্রথম ১০০ জন মহিলার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন, যাদের কর্মজীবন ইউনাইটেড কিংডমের মানুষের ওপর প্রভাব ফেলে। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে।
Discussion about this post