‘বয়েজ লকার রুম’ কাণ্ডের তদন্তে নেমে চোখ কপালে খোদ পুলিশ কর্তাদের। গত সপ্তাহে একটি ইন্সটাগ্রাম গ্রুপের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ঝড় তোলে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছিল সবাই। স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছিল কিভাবে মেয়েদের গণধর্ষণ করা যায় তারই কথোপকথন চালাচ্ছে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর কিছু ছাত্র। এখানেই শেষ নয়, তার সাথে আদান-প্রদান করা হয়েছে কিছু অশ্লীল ছবিও। আর সেই চ্যাটেরই স্ক্রিনশট সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দেয় এক ছাত্রী।
তবে তদন্তের রিপোর্টে একেবারেই যেন উল্টো পুরাণ। চ্যাটের ছেলেটি আসলে নাকি ছেলেই নয়, ছেলের আড়ালে সে আসলে একটি মেয়ে। আর এই তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই ফের ঝড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছে, ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের কথোপকথনে ‘গণধর্ষণ’ সম্পর্কে মন্তব্যটি নাকি মোটেই ওই চ্যাটরুমে করা হয়নি। ছাত্রদের মনোভাব যাচাই করার জন্য একটি মেয়েই নাকি ছেলে সেজে ওই মন্তব্য করেছে। তদন্তের রিপোর্ট বলছে, আসলে একটি মেয়ে স্ন্যাপচ্যাটে সিদ্ধার্থ নামের একটি ফেক অ্যাকাউন্ট খুলে নিজেকে ছেলের পরিচয় দিয়ে ওই গ্রুপেরই অন্য একটি ছেলের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। যদিও ছেলেটি নাকি মেয়েটির এই প্রস্তাবের কোনও অশালীন উত্তর দেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। যে মেয়েটি ওই কাজ করেছে সে আসলে ‘বয়েস লকার রুম’-এর সদস্যই নয়।
পুলিশের জেরায় মেয়েটির স্বীকার করেছে, সে এই কাজ করেছে মেয়েদের সম্পর্কে ছেলেরা কী ভাবে তা জানার জন্য। আর তাই ছেলেটিকে পরীক্ষা করার জন্য ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে খারাপ প্রস্তাবও দেয়। এই সম্পূর্ণ সত্যিটা সামনে আসার পর, সংবাদমাধ্যমকে দিল্লি পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই মেয়েটি বা ছেলেটির বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হচ্ছে না। ভুয়ো আইডি তৈরি করা অনুচিত হলেও মেয়েটির উদ্দেশ্য যেহেতু অসৎ ছিলনা তাই তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে না। কিন্তু এই ঘটনা সামনে আসার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বহু নেটিজেন। তদন্তের আগেই শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া ট্রায়ালের মাধ্যমে কীভাবে অপরাধীর তকমা দেওয়া হল নাবালকদের এই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।







































Discussion about this post