ময়মনসিংহের জাহাঙ্গীর দম্পত্তির খুব ইচ্ছে ছিল গর্ভস্থ শিশুটি কোন অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু তা আর জানা হল না। জানার আগেই একটি ঘাতক ট্রাক তাদের প্রাণ কেড়ে নিল। গত শনিবার ১৬ জুলাই দুপুর আড়াইটের দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল কোট বিল্ডিং সংলগ্ন এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও তার মেয়ে সানজিদাকে নিয়ে আলট্রা সনোগ্রাফি করাতে ত্রিশালে আসেন।
পৌর শহরের খান ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ময়মনসিংহগামী একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই জাহাঙ্গীর আলম তার অন্তসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগম ও ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা মারা যান। এসময় অলৌকিক ভাবে বেঁচে যায় ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মা রত্না বেগমের গর্ভ ফেটে বেড়িয়ে আসে নবজাতক শিশুটি।
মা-বাবা, দিদি হারা নবজাতক শিশুটি জীবিত অবস্থায় প্রথমে ময়মনসিংহের সিবিএমসিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে ময়মনসিংহের লাবীব প্রাইভেট হাসপাতালে সিবিএমসিবি শিশু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ কামরুজ্জামান ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের ডাঃ সোহেল রানা সোহানের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছে নবজাতক শিশুটি ডান হাতে আঘাত পেয়েছে। তাই সতর্কতা অবলম্বন করে তার ডান হাত প্লাস্টার করা হয়েছে। এখন শিশুটি সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত।
Discussion about this post