১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট। সরগরম জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল। নেতাজির মৃত্যু! নাকি নিছকই রাজনৈতিক সুবিধার্থে রটানো এক মিথ্যে? তাইওয়ানের সেই বিমান দুর্ঘটনাকে ঘিরে অবিশ্বাস, সংশয়। ৭৬ বছর পরেও এখনো তোলপাড় রাজনীতি। চলছে তদন্ত আর উত্তর।
কিন্তু জাতীয় কূটনীতি রাজনীতির সমান্তরালে চলছে আরেক জগৎ। যেখানে জলপাইগুড়ির মন্দিরে দেবতার আসনে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। না, এই ঘটনা আজ থেকে নয়। মন্দিরের বয়স কম করেও ৬৮। স্থাপনকাল থেকেই সেখানে রাম, সীতা, হনুমানের পাশাপাশি পুজো পেয়ে আসছেন নেতাজি। তখন ১৯২৭ সাল। জলপাইগুড়ির মাশকলাইবাড়ি শ্মশান এলাকায় এসে হাজির হন এক সাধুবাবা। তিনি সুদূর হৃষিকেশ থেকে আগত। সেখানেই তিনি ঘাঁটি গড়েন। প্রাথমিকভাবে এক মন্দির নির্মাণ করেছিলেন তিনি। যেখানে তিনি ধ্যানেই নিমগ্ন থাকতেন দিনের বেশিরভাগ সময়। তারপর ১৯৫৩ সাল। নতুন করে হনুমান মন্দির স্থাপন করেন তিনি। যেখানে রাম, সীতার পাশাপাশি দেশনায়কের মর্মর মুর্তি তৈরী করেছিলেন। তার নিত্য পুজোও তিনিই করতেন। বছরের ৩৬৫ দিনই।
এখনো মেনে চলা হয় সেই নিয়ম-নীতি। সারাবছর পুজোপাঠ চলে এখানে। দূর থেকে লোকেরাও আসেন নেতাজিকে পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যে। তবে ২৩ জানুয়ারি আড়ম্বরে পুজো দেওয়ার রেওয়াজ আছে। দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার উজ্জ্বলতম নক্ষত্রকে এখানে দেবতাজ্ঞানে পুজো করেন তারা। অবশ্য শিরদাঁড়া সোজা রেখে তিনি শত্রুপক্ষের সামনে মাথা উঁচু করে লড়তে শিখিয়েছেন তিনি তো সততই এক ঈশ্বর! মানুষরূপী ঈশ্বর।
Discussion about this post