খোদ মহানগরীর বুকে নাবালিকার যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ছিটিয়ে নির্মম অত্যাচারের অভিযোগ উঠল। দমদমের একটি হোমে শুক্রবারে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পড়ে যায় শোরগোল।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিংয়ের তালদি গ্রামে। নাবালিকার মা ও বাবা দুজনেই মারা গিয়েছেন। তাঁর একটি বোনও রয়েছে। মাসির কাছেই থাকত দুই বোন। চার মাস আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে এই দুই বোনকে দমদমের একটি হোমে রেখে আসেন তাঁর স্বামী। শুক্রবার সেখানে তাদের দেখতে যান মাসি। গিয়ে দেখেন বারান্দার এক কোণায় পড়ে ছটফট করছে ৯ বছরের মেয়েটি। এরপরে নাবালিকাকে নিয়ে ক্যানিংয়ের তালদিতে বাড়ি নিয়ে আসেন তিনি। পরিবারের দাবি, নাবালিকার যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে নির্যাতন চালানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়! তাকে সারা শরীরে মারা হয়েছে গরম খুন্তির বাড়ি।
অভিযোগ দায়ের হতেই হোমের মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার অবস্থা রীতিমত আশঙ্কাজনক। ইতিমধ্যেই তাকে কলকাতা চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে নাবালিকার মেসোর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সব মিলিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব রহস্যের আঁতুড়ঘর সেই হোমই।
Discussion about this post