হাল আমলে সোশ্যাল মিডিয়া এমন এক ক্ষেত্র যেখানে মানুষের অবাধ স্বাধীনতা। একটি ছবি, বার্তা কিংবা ভিডিওকে কৌতুক বানিয়ে নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায় এ মোবাইল থেকে ও মোবাইল। যাকে আমরা ‘মিম’ বলে থাকি। মিম সাধারণত হাসির উদ্রেক করলেও কিছু মিমের মধ্যে থাকে রুচিশীলতার প্রচন্ড অভাব। আর তার কমেন্ট বক্স জুড়েও চলে ভয়ানক খিস্তি খেউড়ের আসর। অবলীলায় চলে লাগাম ছাড়া কুৎসিত ভাষার ব্যবহার। আর এর থেকে বাদ যান না কোনো মনীষী বা কোনো বিশেষ ব্যক্তিত্বও।
গত বুধবারই বাংলা সাহিত্য জগতের প্রবাদপ্রতিম কবি শঙ্খ ঘোষের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ হয়েছে বাংলা। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে কবিকে শ্রদ্ধার্ঘ্য। কিন্তু কুরুচি সম্পন্ন এক ব্যক্তি সেই বিষয়টিকে নিয়েও বানিয়ে ফেললেন মিম। আর তা দেখে মজাও কুড়োচ্ছেন কিছু মানুষ। এমনকি সেই পোষ্টের কমেন্ট বক্স জুড়ে রয়েছে আরও দৃষ্টিকটূ সব আলোচনা। যা দেখলে ও শুনলে সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের মুখ থেকে একটাই কথা বেরিয়ে আসবে “ছিঃ!”
প্রশ্ন উঠছে একটি মানুষের মৃত্যুর দিনেই তাঁকে নিয়ে হাসাহাসি করা যায় নির্দ্বিধায়। এই মিমারদের মধ্যে আদৌ কি মনুষ্যত্বের ছিটেফোঁটা রয়েছে? জনপ্রিয়তার লোভে এরা মানবিকতাকে বিসর্জন দিতেও বোধহয় দু’বার ভাবে না। তবে বেশ কিছু মানুষ এর প্রতিবাদও করেছেন। মিম বানানো মানুষটিকেও উপযুক্ত জবাব দিয়েছেন কিছু নেটিজেন।
Discussion about this post