ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ১ মার্চ রাতে। ধর্ষিতা তরুণীর বাড়ি মানকুন্ডু। বাড়িতে বেশ কিছু কুকুর-বিড়ালকে আশ্রয় দিয়েছেন তিনি। সারাদিন তাদের দেখাশোনার করার মধ্য দিয়েই দিন কাটত তাঁর। ১ মার্চ রাতে ওই তরুণী একাই ছিলেন বাড়িতে। অভিযোগ রাত দেড়টা অলোক হোড় নামের এক যুবক মদ্যপ অবস্থায় তাঁর বাড়ির সামনে এসে চিৎকার করে ডাকাডাকি করতে থাকে। প্রথমে তিনি বাড়ির বাইরে বেরোতে রাজি না হলেও, পরিস্থিতির চাপে পড়ে তিনি বাড়ির দরজা খোলেন। এই সুযোগে দরজা দিয়ে ঢুকে বাড়ির উঠোনেই তাঁকে ধর্ষণ করে অলোক। তরুনীর এমনটিই অভিযোগ। তরুণী এও জানান, অলোক হোড়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু অলোক আরও একাধিক তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি প্রায় এক বছর আগে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে দেন। তারপরও প্রায়ই ঐ যুবক তাঁকে নানাভাবে বিরক্ত করছিল। কিছুদিন আগেই অভিযুক্তকে নিয়ে তিনি ফেসবুক পোস্টও করেন।
বাড়ির ভেতরের দরজা বন্ধ থাকায় বাড়িতে আশ্রিত পোষ্যগুলিও প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। যুবতী এও জানান, ঘটনার পরের দিন অভিযুক্ত যুবকের বাবা তাঁকে থানায় কোনোরকম অভিযোগ না করতে অনুরোধ করেন। এমনকি ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু ঠিক তারপরেই অলোক এবং তার বাবার ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়। ৩ মার্চ সকালে নিগৃহিতা অলোককে ফোন করলে সে বলে, “তোর সারা শরীরে দাগ করে দিয়েছি, এবার কী করে বিয়ে করবি কর।” যুবতী চন্দননগর থানায় এফআইআর দায়ের করেন। অভিযুক্ত অলোক হোড়কে ফোন করা হলে সে জানায়, তাকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিয়েছেন ওই তরুণী। চন্দননগর থানার আইসি শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও শেষ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি। অলোক এই মুহূর্তে ভিনরাজ্যে রয়েছে, আগামী ৭ তারিখ বাড়ি ফিরেই সে থানায় যাবে বলেও জানিয়েছে।
Discussion about this post