মঙ্গলদ্বীপ, নামটা চেনা চেনা ঠেকছে কি? কেউ চিনলেও চিনতে পারেন, আবার কেউ হয়তো চেনেন না। তবে আজ চিনে নিন। এই নামের মধ্যেই লুকিয়ে আছে জায়গার বিশেষত্ব। ‘ দ্বীপ’, আপনাদের হাতের নাগালেই রয়েছে এমন একটি দ্বীপ। যার তথ্য হয়তো আপনাদের অজানা। রোজকার একঘেয়ে জীবন থেকে একদিনের ছুটি কাটানোর আদর্শ জায়গা বলা হলে, খুব ভুল কিছু হবে না। পথের হদিস চাই? তাও রইলো আপনার জন্য। মাত্র কয়েক ঘণ্টার যাত্রা। আপনাকে নামতে হবে পায়রাডাঙ্গা স্টেশনে। নামলেই দেখবেন সারি সারি টোটো গাড়ি। সেখান থেকে টোটো করে সোজা শিবপুর ঘাট। যাবার পথে রাস্তার দু’পাশ জুড়ে আলপথ যুক্ত সবুজ মাঠ থেকে কুড়িয়ে নেবেন মুক্ত বাতাস। আর গঙ্গার ঘাটে পৌঁছেই নৌকা করে একদম নদীর মধ্যেই অবস্থিত মঙ্গলদ্বীপ। শহরের ঘিঞ্জি যানজট থেকে একদিনের এই উপভোগ একেবারেই নিরাশ করবে না আপনাকে।
গঙ্গার নাম ভাগীরথী হবার পরেই, এখানে তার নতুন বন্ধুত্ব চূর্ণির সাথে। আর বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের পর এনাদের মিলন স্থলের কাছেই রয়েছে এই দ্বীপ। ওপরে খোলা আকাশ, চারিদিকে জল আর চারিদিকে সবুজে মোড়া এই স্থান। নির্মল, মনোরম পরিবেশে দিন কাটাতে এর জুড়ি নেই। সঙ্গে পাবেন নৌকা ভ্রমণের সুযোগ। চলে আসতে পারেন শীতের পিকনিকের উদ্দেশ্যে। আসতে পারেন পরিবারের সাথে অথবা মনের মানুষকে নিয়ে। নদীর বুকে জেগে ওঠা পিকনিক গার্ডেন পেয়ে সাধারণ মানুষ কিন্তু দারুণ খুশি। কো-১৯ পরিস্থিতিতে দ্বীপে সাতদিনে চারটি দলকে পিকনিক করতে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে যাওয়ার জন্য নৌকা ব্যবস্থা রয়েছে পঞ্চায়েতের তরফ থেকে। দল প্রতি খরচ ২৫০ টাকা। আনুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে সেজে উঠেছে এই দ্বীপ। নদীর মাঝে পরে থাকা এক ফালি জমির নতুন রূপ নেওয়ার পেছনে অবদান আছে আঞ্চলিক মানুষেরও। সেখানে শিশুদের জন্য আছে বিভিন্ন ধরনের দোলনা, সাথে প্রকৃতির কাছে আসার অবকাশ। নৌকা বুক করে চাইলে ঘুরেও দেখতে পারেন গোটা দ্বীপটি।
দ্বীপের মধ্যেই আছে খাবারের ব্যবস্থা। অবশ্য আপনি চাইলে রান্না করেও খেতে পারেন। পিকনিক গার্ডেনে হাজির তার সুবিধাও। তবে আর দেরি কেন? জলের কাছে গোটা দিন তাজা শ্বাস নিতে চাইলে তাড়াতাড়ি চলে আসুন মঙ্গলদ্বীপ। স্বল্প খরচে বুক ভরা বাতাসের সান্নিধ্যে অফুরন্ত আনন্দ দিতে, সব সময়ে তৈরি মঙ্গলদ্বীপ।
চিত্র ঋণ – https://in.worldorgs.com/
Discussion about this post