আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে ফিরে দেখা প্রেম নিবেদন। সে সময়ের যত্নে মোড়া সেই চিঠিপত্রের প্রেম নিবেদন হার মানাবে এখনকার ‘প্রপোজ ডে’ – র আধুনিকতাকে। কিন্তু ওই! সময় আর স্রোত কারোর জন্য অপেক্ষা করে না। চিঠিপত্রের প্রেমালাপকে পিছনে ফেলে টেলিফোনের এপারে অপেক্ষা। তারপর ১২/১৪ টাকার এসএমএস প্যাকই হয়ে দাঁড়াল ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম। তারপর তো যুগ ধাপে ধাপে এগিয়েছে অনেক খানিই। পালিত হচ্ছে একটা গোটা ভালোবাসার সপ্তাহ। সপ্তাহের প্রতিটি দিনে প্রেমের এক একটি প্রতীককে সামনে রেখে প্রেমের উদযাপন।
তবে প্রেম তো চিরন্তন। যেকোনো উপায়ই প্রেম নিবেদনের আদর্শ উপায়। আধুনিকতার রোষে চিঠিপত্রের চল কমলেও একসময় ইতিহাসের কালজয়ী পুরুষরাও প্রেমপত্র লিখেছেন সযত্নে। কখনো কখনো সেই চিঠির রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফুটে উঠেছে প্রেমিক-প্রেমিকার বিরহ যন্ত্রণা। এই যেমন ধরুন বিখ্যাত সুরসম্রাট বিঠোফেন। গোটা বিশ্ব যাঁকে চেনে ‘‘মুনলাইট সোনাটা’’ নামে। পেশাগত জীবনে তিনি যেমন পিয়ানোর সুরে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করতে পারতেন, তেমনি তার প্রেমিক সত্ত্বাও তাবড় তাবড় প্রেমিক পুরুষের তুলনায় কোনো অংশে কম ছিল না। প্রেম নিবেদনের এই বিশেষ দিনে স্মরণীয় হয়ে থাকুক তার প্রেমিকার উদ্দেশ্যে লেখা একটি প্রেমপত্র।
আমার দেবী,
গভীর দুঃখ আর না পাওয়ার বেদনার মাঝেই যদি থাকে প্রেমের সফলতা, তবে নিশ্চয় আমাদের প্রেম সফল। না দেখার কষ্ট, বিরহের যন্ত্রণা ছাড়া আর কিছুই যে নেই তোমার-আমার মাঝে। প্রতিনিয়ত সুরের মাঝে তোমাকেই খুঁজে বেড়াই। কিন্তু হায়! অপ্রাপ্তি তো আর প্রাপ্তি হয়ে ধরা দেয় না! প্রকৃতির সৌন্দর্যের মাঝে আনন্দ খুঁজি। কিন্তু তোমার ধ্যান, সব দর্শনই মিছে মনে হয় যখন মনে পড়ে দিন শেষে আমরা রয়ে যাব যে যার মতো নিবাসে।
দেবী, তুমি কেবল আমারই দেবী, এই জন্মে না হলেও পরজন্মে মিলন আমাদের হবেই। এই তো আর কটা দিন অপেক্ষা মাত্র। তুমি সাহসী না হলে, আমি সাহস করবো কোথা হতে?
ইতি তোমারই বিঠোফেন
Discussion about this post