একদিকে করোনা পরিস্থিতি তথা লকডাউন যেমন বিপর্যস্ত করে তুলছে আমাদের সুস্থ জনজীবন। তবে সব কয়েনেরই উল্টো পিঠও থাকে। মাঝে মধ্যেই লকডাউন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে শিখিয়ে যাচ্ছে মানবিকতার পাঠ। মীরাটের শাহ পীরে চিরতরে বিদায় নিলেন ৬৮ বছরের এক পুরোহিত। গলায় টিউমার নিয়ে বহুদিন ধরেই চলছিল চিকিৎসা। গত মঙ্গলবার তিনি মারা যান। লকডাউন পরিস্থিতিতে দেহ সৎকার নিয়ে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন মৃতের পরিজনেরা। সে সময় এগিয়ে এলেন পাড়ার মুসলিম ভাইয়েরা। তারই রমজান মাসে মৃতদেহ কাঁধে তুলে নিয়ে সৎকারের উদ্দেশ্যে চললেন শ্মশানে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মীরাটের এই মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় ছেলে ও স্ত্রীকে বাস করতেন স্থানীয় মন্দিরের পুরোহিত রমেশ মাথুর। তাঁর দেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য এভাবেই পাওয়া গেল অনেকগুলো কাঁধ।গাঁদা ফুলের মালায় জড়ানো দেহটি কাঁধে তুলে নিয়েছেন সাদা টুপি পরা অনেকে। সেই দৃশ্য জানলা দিয়ে দেখল অনেক কৌতূহলী চোখ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ল এই সম্প্রীতির ছবি। তাঁর ছেলে চন্দ্র মৌলি মাথুর জানিয়েছেন, লকডাউনে বাবার মৃত্যু হওয়ায়, দাদা দিল্লি থেকে ফিরতে পারেননি। কোনও আত্মীয়-স্বজনও আসতে পারেননি। এই সময় প্রতিবেশীরাই আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন, বাবার দেহ নিয়ে যান শ্মশানে।’ অনেকেই মনে করছেন, করোনা পরবর্তী পৃথিবী হয়তো সত্যিই এক অন্য পৃথিবী হবে। তাদের সেই মনে হওয়াকেই কি অক্সিজেন জুগিয়ে গেল এই দৃষ্টান্ত?
Discussion about this post