চিড়িয়াখানায় তো কমবেশি ঘুরেছেন প্রত্যেকেই। খাঁচায় ভরা পশুদের ছটফটানি আর পাখিরা ডানা ঝাপ্টানো আশা করি চোখ এড়ায় নি। আর তাই দেখে বাচ্চা থেকে বুড়ো সে কি মজা! কিন্তু এই চিরাচরিত ছবিটিতে এবার আসবে একটু ট্যুইস্ট। চিড়িয়াখানার মতই তারের খাঁচায় যদি মানুষ ঢুকে বসে। ভাবতে পারছেন কি বিষয়টা কেমন লাগবে? যা তাও আবার হয় নাকি! তবেই চলুন আপনাদের খাঁচায় বন্দী মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করাই।
হংকং শহর, যেখানে শুধু ঝাঁ-চকচকে অট্টালিকারই দেখা মেলে। কিন্তু অদ্ভুত ব্যাপার সেই চাকচিক্যময় শহরেই এমন খাঁচা বন্দি মানুষের বাস। যদিও এরজন্য লাইসেন্স থাকা অত্যাবশ্যক। এরা আদপে দরিদ্র গোষ্ঠী যাদের থাকার জন্য একটুকরো আশ্রয়ও নেই। তাই এই খাঁচার মধ্যে পোলট্রির মুরগীর মতো বাস করে চলে এরা বছরের পর বছর। একটি বড় বাড়ির প্রতি ফ্ল্যাটে অনেককটা খাঁচার খোপ রয়েছে। প্রতি খাঁচায় একজন করেই বাস করে থাকেন। কিন্তু এতগুলো লোকের জন্য পুরো বাড়িতে বাথরুম রয়েছে মাত্র দুটি। আর এখানে থাকা বাবদ খরচও পড়ে যায় প্রায় ২০ হাজার টাকার মতো।
এই গন্ডীঘেরা জীবনে না রয়েছে সুখের পরশ না আনন্দ উচ্ছ্বাস। শুধুই শ্বাসটুকু নেওয়ার এক আশ্রয় মাত্র। বহু মানুষ তাদের অর্ধেক জীবনটাই কাটিয়ে ফেলেছেন এই খাঁচার মধ্যেই। এ যেন এক নরক শাস্তি ভোগের দশা। ইচ্ছে থাকলেও পালানোর পথ নেই। মানুষগুলো হয়তো এভাবেই প্রতিটা দিন অপেক্ষা করে চলেন মৃত্যুর।
Discussion about this post