পাহাড় প্রিয় না সমুদ্র?–এই দ্বন্দ্বের কোনো শেষ নেই ভ্রমণপ্রিয় মানুষদের কাছে। কেউ পাহাড়ে শান্তি খোঁজেন, আবার কেউ সমুদ্রের চঞ্চলতাতেই খুঁজে নেন শান্তি। তবে আজকাল মানুষ যেখানেই যান না কেন, অফবিট জায়গা না হলে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই উপভোগ করতে পারেন না। আসলে রোজের এই কোলাহল থেকে বাঁচতে দু-এক দিন নিরিবিলিতে সময় কাটানোই মানুষের এক এবং একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই সেরকমই এক অফবিট জায়গার কথা জেনে নিন পরের উইকেন্ডের প্ল্যান করার আগে। পাহাড়ের অফবিট তো যানই, এবার জানা যাক কলকাতার খুব কাছেই অবস্থিত একটি নতুন সমুদ্র সৈকত লালগঞ্জের কথা।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবারের খুব কাছে অবস্থিত এই জায়গা এখনও পর্যটকদের কাছে বেশ অজানা। তাই এক্কেবারে নির্জন নিরিবিলি জায়গা খুঁজতে চাইলে এই জায়গাটির জুড়ি মেলা ভার। তবে দেখার জিনিসেরও কিন্তু কোনো অভাব নেই। সাদা বালির বীচ, সমুদ্র সৈকতে লাল কাঁকড়ার চাদর বিছানো আর রয়েছে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। সবথেকে আকর্ষণীয় যেটা, তা হল– অ্যাডভেঞ্চার লোভীদের জন্য রয়েছে সমুদ্র সৈকতে ক্যাম্প রিসোর্টে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা। গরম গরম মাছ ভাজায় কামড় বসাতে বসাতে সমুদ্রের গর্জন শোনা। লালগঞ্জে আপাতত থাকার জায়গা রয়েছে একটি। নাম–’ঘরে-বাইরে লালগঞ্জ বিচস্টে’। ডবল বেড আর একটি ফোর বেড তাঁবু নিয়ে এখানে থাকা- খাওয়ার একদিনের খরচ জনপ্রতি ১৫০০ টাকা।
কলকাতা থেকে দূরত্ব ১৩৮ কিমি। বকখালিগামী যেকোনো বাসে ১০ মাইল বা কয়লাঘাটা স্টপেজে নেমে টোটো করে লালগঞ্জ আসা যায়। বাসস্টপ থেকে দূরত্ব মাত্র ৫ কিমি। আর যদি ট্রেনে যেতে চান তবে নামখানা স্টেশনে নেমে ১০ মাইল বাসে গিয়ে টোটো করে যাওয়া যায়। আর কলকাতা থেকে গাড়ি নিয়ে গেলে খুব বেশি হলে ৩ ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন এই মনোরম পরিবেশে। তাই সপ্তাহান্তে দুদিনের ছুটি কাটাতে বেড়িয়ে পড়ুন কলকাতার একেবারে নাগালের মধ্যেই লালগঞ্জ সমুদ্র সৈকতে। সোমবার ফের বজায় রাখতে পারবেন স্কুল, কলেজ অথবা অফিসও!
চিত্র ঋণ – অয়ন চক্রবর্তী
Discussion about this post