ভয়ঙ্কর এক পরিস্থিতি। হাসপাতালের দিকে এক পলক তাকালেই মনে হয় যেন রোগীর মেলা। কাতারে কাতারে মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতাল বেডে শয্যাশায়ী। অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যাপক চাহিদায় প্রত্যেকের একরকম হিমশিম অবস্থা। আর সবথেকে বড় ব্যপার হল এমন অবস্থায় নিজের লোকেরাই কেমন যেন আতঙ্কে দূরত্বে সরছে ক্রমশ। কিন্তু কিছু মানুষ বোধহয় এই ধরাধামে এসেছেনই দুঃসময়ে সাথী হতে। তেমনই একজনের কথা বলতে চলেছি আজ যিনি এই মহামারীতে মানুষের পাশে থাকার তালিকায় নবতম সংযোজন।
নাম সমিতা হালদার, দিল্লীর গুরগাঁওয়ের প্রবাসী বাঙালি। রান্নাটা যেন তাঁর কাছে এক শিল্পের মতো। চটজলদি বানিয়েও ফেলেন নানান খাবারের রেসিপি। এবার সেই রান্না নিয়েই হাজির তিনি প্রতি দরজায়। গুরগাঁও সেক্টর ৪০-৬২ এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের জন্য হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তাতে রয়েছে ভাত ডালসহ আরো তিনটি তরকারির পদ। আর এই ডেলিভারিটি একদম বিনামূল্যেই পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি শমিতা হালদার আক্রান্তদের মুখের স্বাদ এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কেও যথেষ্ট সচেতন। তাই থালা ভর্তি খাবারের সঙ্গে ঠাঁই পাচ্ছে উচ্ছে পাতার বড়াও!
করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে সবাই। কিন্তু রোগীর বাড়ির লোকদের নিয়ে বিশেষ কেউ মাথা ঘামায় না। আইসোলেশনে থেকে রোজকার প্রয়োজনীয় জিনিসটুকু পেতে একরকম ঝক্কি সামলাতে হয় তাদের। তাই সেইসব মানুষের পাশে থেকে নিজের হাতে তৈরী খাবার বিনামূল্যে পাঠানোর এই উদ্যোগ সত্যি কুর্নিশের দাবি রাখে।
Discussion about this post