‘ধর্ষণ’ কথাটি শুনলেই মাথায় একটা ভয়ঙ্কর ছবি ফুটে ওঠে। একটি মেয়ে, অর্ধনগ্ন নারীশরীর। আর তার উপর দাপট চলছে পুরুষ শরীরের। কিন্তু এবার যে ঘটনাটি জানাব তা শুনলে আপনাদের চিরাচরিত এই ধারণাটা বদলাতেই হবে। একটি মহিলার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক নাবালক।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের সিদ্ধার্থনগর। সতেরো বছরের ক্লাস ইলেভেনে পড়া এক কিশোর। কিশোরটি টিউশন পড়তে বাইরে বেরোলেই তাকে নিজের ঘরে ডাকতেন বছর ৪৫-এর ওই মহিলা। মহিলাটি কিশোরের পাড়ার এক প্রতিবেশী। ২০১৬ থেকেই চলছে এমন যৌন হেনস্থা। কিন্তু লজ্জা ভয়ের কারণে কাউকে বলে উঠতে পারেনি কিশোর। ছেলেটি বর্তমানে কলেজে পড়ে। তখন যে ব্যাপারটা বুঝে উঠতে সময় লেগেছিলো এখন সে এটুকু জানে ওই মহিলা তাকে ব্যবহার করত। তাই ছেলেটি সবরকম সংযোগ শেষ করে। এদিকে মহিলাটি এক মেয়েকে নিজের মেয়ে বানিয়ে পৌঁছে যান ছেলেটির বাড়ি। প্রস্তাব দেন নিজের মেয়ের সাথে ছেলেটির বিয়ের। আপত্তি এলেই হুমকি দিয়ে বসেন যে ছেলেটির সমস্ত কার্যকলাপ ফাঁস করে দেবে। পাল্টা ছেলেটি তাই মুখ খুলতে বাধ্য হয়। এরপরেই আইনী এবং পুলিশী সাহায্য নেয় ছেলেটি।
সম্প্রতি স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৫৬(৩) ধারায় রায় দান করে আদালত। সেই অনুযায়ী এফআইআরও দায়ের করা হয়। কিন্তু মহিলাটি এখনও পলাতক।
Discussion about this post