দিন যত গড়াচ্ছে ততই নিত্য নতুন মোড় নিচ্ছে লাদাখের সীমান্ত সংঘাত। সামরিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে একাধিক বৈঠকের পড়ে কিছুতেই মিলছে না সমাধান সূত্র। এদিকে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান ও প্যাংগং উপত্যকা সহ মোট ৮ টি ফিঙ্গারে ক্রমেই পড়ছে চিনা ড্রাগনের বিষবাষ্প। পিপলস লিবারেশন আর্মির আগ্রাসনের ভয় পাচ্ছে লাদাখের চশুল গ্রামে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনার কাঁধে ভর করেই আতঙ্কের প্রহর কাটাতে চাইছেন এই গ্রামের মানুষেরা।
এদিকে ধীর পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। ইতিমধ্যেই বরফের চাদরে ঢাকা পড়ছে লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই বন্ধুর পার্বত্য পথে চিনা আস্ফালন ঠেকানো যে মুখের কথা না কার্যত একবাক্যেই মেনে নিচ্ছেন সকলে। সূত্রের খবর, হিমালয়ের যে সমস্ত কঠিন পার্বত্য এলাকাগুলিতে ভারতীয় সেনা ঘাঁটি গেড়ে সেখানে খাবার ও প্রয়োজনীয় রসদ পৌঁছে দিচ্ছেন চশুলের গ্রামবাসীরা। তাদের বিশ্বাস লালফৌজের হাত থেক তাদের বাঁচাতে পারে একমাত্র ভারতীয় সেনাই।
এদিকে ১৯৬২ সালের চিন-ভারত যুদ্ধের কথা ভেবে বর্তমানে ফের আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন লাদাখের একাধিক গ্রামের বাসিন্দারাই। এর মধ্যেই অনেকেই ৬০ দশকে তিব্বত ছেড়ে ভারতের কোলে আশ্রয় নেন বলে জানা গিয়েছে। চিনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়েই শ’য়ে শ’য়ে মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে সেই সময় ভারতে চলে আসে। বর্তমানে চিন যেভাবে এগোচ্ছে তাতে ফের যে সেদিন ফিরবে না সে নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে? আর এই ভয়েই কার্যত তটস্থ হয়ে আছেন চশুলের গ্রামবাসী। লালফৌজের আগ্রাসন ঠেকাতে তাঁরা সর্বতোভাবে পাশে দাঁড়াতে চাইছেন ভারতীয় সেনার। বাড়িয়েছেন সমস্তরকম সাহায্যের হাত। ঠিক যেন লাদাখবাসীর কাছে অলিখিত ত্রাতার ভূমিকায় উর্ত্তীন হয়ে ভারতীয় সেনা-জওয়ানেরা।
Discussion about this post