অনলাইন ব্যাবস্থার যুগে, সবকিছু যেন হাতের মুঠোয়। ব্যাঙ্কের কাজ থেকে শপিং সব হচ্ছে ফোনের এক ক্লিকে। তবে এই এক ক্লিকেই হারাতেও পারেন সর্বস্ব। ডিজিটাল সুবিধার সাথে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে ডিজিটাল চুরির ঘটনাও।
ঘটনাটি খাস কলকাতার। হ্যাকারদের এক অভিনব কায়দা উঠে এসেছে। গত শুক্রবার কলকাতা বাসী পৌলমি মজুমদার এই ব্যাপারে একটি ফেসবুক পোস্ট ও করেন। তিনি জানান-“সকালে এক মহিলা ফোন ধরতেই চিৎকার করতে শুরু করলেন। বক্তব্য হল জনৈক অভিজিৎ দত্ত কোনও ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছেন এবং সেখানে রেফারেন্স নাম্বার হিসেবে আমার নাম্বার দিয়েছেন। সম্পর্কে না কি আমি তাঁর স্ত্রী হই তাই আমাকে টাকা ফেরৎ করতে হবে। প্রথমে রং নাম্বার ভেবে ইগনোর করি। কিন্তু বারংবার ফোন আসতে থাকায় কল রেকর্ড করতে শুরু করি। ব্যাঙ্কের নাম, ব্রাঞ্চ জানতে চাইলে সেটাও জানাতে অস্বীকার করে। যখন আমি বলি আমি টাকা ফেরৎ করতে সম্মত তখন আমাকে প্রথমে একটা ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক বলে এবং জানায় সেখানে অমুক জায়গায় ক্লিক করলে পেমেন্ট হয়ে যাবে। আমি যখন বলি যে আমি ব্যাংকে গিয়ে ক্যাশে পেমেন্ট করব, তখন তাদের মত বদলে যায়।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই ব্যাক্তির সব ডিটেল চলে যায় হ্যাকারদের কাছে। এভাবেই সর্বহারা হন বহু মানুষ। তাই এই ধরনের লিঙ্ক বা লোভনীয় পুরস্কারের লিঙ্কে না ক্লিক করাই বাঞ্ছনীয়। ঘটনার পর পৌলমী মজুমদারের সাথে চেষ্টা করলেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের অনলাইন জালিয়াতি রুখতেই আরবিআইয়ের বিশেষ পদক্ষেপ হল টোকেনাইজেশন (Tokenisation) প্রযুক্তি। এতদিন পর্যন্ত যাঁরা শুধুমাত্র স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ব্যবহার করতেন তাঁরাই টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু এবার থেকে ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ ব্যবহারকারীরাও এই সুবিধা পাবেন। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানিয়েছেন, এই প্রক্রিয়ার ফলে অনলাইন লেনদেন অনেক সুরক্ষিত থাকবে। ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট অ্যাপে সাবমিট করলে তবেই পেমেন্ট হবে। ফলে জালিয়াতি অনেকটা কমবে।
Discussion about this post