আকাশ ছোঁয়া নাই বা হলো। প্রতিবিম্বে স্পর্শ করা যেতেই পারে। সমুদ্র বা নদী হলে ছোট বড়ো ঢেউ এসে দুলিয়ে দেয় সমস্তটা। ছুঁয়ে দেখার আগেই ছবিরা চলে যায়। অন্যদিকে পুকুরে তো গোটা আকাশ ধরা যায় না। আর তাইই বুঝি প্রকৃতি সৃষ্টি করেছে জলাশয়ের আরেক রূপ। বাওর। আর তার ঠিকানাও বেশ কাছে। খলসি বাওর।
এখানে আসতে হলে আপনাকে নামতে হবে নদিয়ার চাকদহ স্টেশনে। সেখান নিমতলাগামী বাস ধরে এগিয়ে চলুন গন্তব্যে। কালিবাজারের পরেই ঠিক রাস্তার বাঁদিকে পড়বে খলসি। কিছুটা এগিয়ে গেলেই খুঁজে পাবেন বাওর। স্নিগ্ধ পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন নিজের মতো। চাইলে করতে পারেন নৌকা ভ্রমণও। স্থানীয় মাঝিরাই নৌকো করে ঘুরিয়ে দেখান বাওর। আগস্ট মাসের দিকে অবশ্য পিকনিক করারও ব্যবস্থা থাকে। তবে বাকি সময়ে ভিড় কম।
খোলা আকাশ মাথায় নিয়ে এ যেন কোনো গল্পকথা। বাওরের জল বয়ে আনে শান্তি। রোজকার ঝঞ্জা কাটিয়ে একদিন নিজের সাথে কাটানোর জন্য অনবদ্য জায়গা। তবে কাছাকাছি কোনো হোটেল নেই। তাই ঘরে ফেরার টান অনুভব করতে বাধ্য। খাবারও নিয়ে যেতে হবে সঙ্গে করেই। শান্ত পরিবেশে থাকা খাওয়ার অসুবিধা একটু হলেও, জনসমাগম না হলেই মঙ্গল। সুস্থ পরিবেশ আজকাল আর রয়েছে কোথায়? আর পাখিদের ডাকে সাড়া নাই বা দিলেন। তবে শুনতে তো ক্ষতি নেই। বরং তা উপরি পাওনা। শান্তিপ্রিয় মানুষদের জন্য এমন মনোরম পরিবেশ কাছে বলতে আর কোথায়! জলাশয়ের ধার দিয়ে গাছেদের পরিবার তৈরি রয়েছে আপনাকে স্বাগত করতে। তাহলে আর দেরি না করে নিজের জন্য সময় নিয়ে চলে আসুন খলসি বাওর। মন ভরে নিন পুরোপুরি গ্রামের আস্বাদ।
চিত্র ঋণ – প্রাণদীপ মন্ডল
Discussion about this post