আজ থেকে বছর কুড়ির আগের কথা। বাজারে তখন সবে বোতাম টেপা ফোন এসেছে। আর নোকিয়া তখন ফোনের ব্যবসায় একচেটিয়া রাজত্ব করছে। এ সময়ে ফোন ব্যবহারকারীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ফোনে টাইপ করতে পারতেন। তাঁর কারণ হিসেবে দুটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। এক ব্যবহারকারীদের অভ্যাস এবং দুই বোতামগুলো অ্যালফাবেটিক অর্ডারে সাজানো থাকত। যদিও এখনকার অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলি এর ব্যতিক্রম। শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনই নয়, বরং কম্পিউটারের কীবোর্ডেও অক্ষরগুলি অ্যালফাবেটিক অর্ডারে থাকে না। এর পিছনের কারণ হয়তো অনেকেরই অজানা।
ম্যানুয়াল টাইপ রাইটারগুলির সময়ে টাইপিং বোর্ডে কী গুলি অ্যালফাবেটিকলি সাজানো ছিল। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দ্রুত টাইপ করার ফলে মেশিন জ্যাম হয়ে যেত। সেই কারণে টাইপিং মেশিনের কী গুলি বর্ণানুক্রমিক না সাজিয়ে এলোমেলো ভাবে সাজানো হয়। এই বিন্যাসকে বলা হয় কোয়ার্টি কিবোর্ড। বর্ণানুক্রমিক বিন্যাসের সাথে সম্পর্কিত সমস্যাটি স্বীকৃতি পাওয়ার পর ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলস (কোয়ার্টি কীবোর্ড উদ্ভাবক) তার আবিষ্কারটি আরও নিখুঁত করার জন্য পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে খেটে এটির পুনর্বিন্যাস করেন।
তবে এই মত নিয়ে অনেকেরই দ্বিমত রয়েছে। টাইপ যাতে দ্রুত করা যায় সেই কথা ভেবেই যে অক্ষরগুলি বেশি ব্যবহার হয় সেগুলো সুবিধাজনক জায়গায় রেখে সাজানো হয় বলেই এগুলির অর্ডার এরকম ভাবে সাজানো হয়। এরকম ভাবনায় বিশ্বাস রাখা মানুষের সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়।
Discussion about this post