“যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে তবে একলা চলো রে.” হ্যাঁ, একার পথেই যাত্রা শুরু এবার। এ কাজে কাউকে ডাকার প্রয়োজনও ছিল না অবশ্য। বয়স যে শুধু একটা সংখ্যা তা আবারও প্রমাণ করলেন তিনি। কী তার পরিচয়? সুদূর জাপানের এক বৃদ্ধ তিনি। তবে তার বর্তমান পরিচয় হয়ে উঠেছে তার সাহসিকতা আর ইচ্ছেশক্তি। পৃথিবীর প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে একা পাড় করলেন প্রশান্ত মহাসাগর। নজির গড়লেন তিনি। তার মতে, তিনি এখনো মধ্যযৌবনা। অদেখা সব কিছু সবে দেখতে শুরু করেছেন। পৃথিবীর বাকি রূপ রস গন্ধ শুষে নেওয়া বাকি তার। চলতি বছরের মার্চ মাসে আমেরিকার সান ফ্রান্সিসকো শহর থেকে রওনা দেন জাপানের উদ্দেশ্যে। বাহন ছিল মাত্র ১৯ ফুট লম্বা সান্তরি মারমেড ৩ নামক ইয়ট।
প্রশান্ত মহাসাগর পার করে দেশে পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৬৯ দিন। দীর্ঘদিন এ জলযাত্রা মোটেই সহজ ছিল না। অদম্য ইচ্ছের জোর ছাড়া এ যাত্রার শেষ দেখা প্রায় অসম্ভব। যাত্রার শুরুতে প্রবল ঝড়কে দোসর করে উপকূলের বিপরীত স্রোত সব কিছুকেই জয় করে ফিরেছেন কেনিচি। এ জয়ের আনন্দ লাভ দক্ষতা ছাড়া একেবারেই সম্ভব নয়।
তার গোটা যাত্রায় সঙ্গী বলতে ছিল চোখের ড্রপ আর ব্যান্ডেড। এছাড়া তার আর কোনো ওষুধের দরকার হয়নি বলেই জানান তিনি। জাপানের শিন নিশিনোমিয়া বন্দরে তার অপেক্ষায় থাকা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম ছিল না। তাদের এই উৎকন্ঠা কেনিচির ইচ্ছেকে আরও কিছুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলো বলে জানান তিনি। যদিও প্রশান্ত মহাসাগরে এটা তার প্রথম যাত্রা না। ১৯৬২ সালে তিনি এই রেকর্ড গড়েছিলেন। ৬০ বছর বয়সে এসে নিজের রেকর্ড নিজে ভাঙেন তিনি। সত্যিই, নিজের প্রতিযোগিতা এভাবে নিজের সাথেই হওয়া উচিৎ প্রতি মুহূর্তে।
Discussion about this post