রামিজ শুধু একজন মানুষের নাম নয়, হয়তো একটা নতুন ভাবনারও নাম। বিরল রোগে আক্রান্ত রামিজকে সুস্থ করতে তাঁর বন্ধুরা নেমেছিল রাস্তায়। গান, কবিতা, নাটকের মাধ্যমে জোগাড় হয়েছিল আর্থিক সাহায্য। সেই লড়াই শিক্ষা দিয়েছিল এনজিও কিংবা রাজনৈতিক দল নয়। বরং মানুষ হয়েই মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। এই ‘পচে যাওয়া’ সমাজের ভরসাতেই রামিজকে সুস্থ করেছিল তাঁর বন্ধুরা। কঠিন অসুখ এই যুবকের পিছু ছাড়েনি। বারবার চেপে ধরেছে কঠিন যন্ত্রণা, কিন্তু রামিজ জিতেছেন শুধু মনের জোরে আর মানুষের ভালোবাসায়। লড়াইয়ের পথে একে একে বাবা, মা, দিদি সকলকে হারালেও লড়াইয়ের পথ ছাড়েননি তিনি। বিরল রোগের হাত থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পর সমাজের ঋণ অন্যভাবে ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেন রামিজ।
শ্রমজীবী ব্লাড ব্যাঙ্কে রামিজের ডাকে সাড়া দিয়ে ৭ জন রক্ত দিলেন গত ২৪ জুলাই। তাঁর মধ্যে ৩ জনই নতুন রক্ত দাতা। নানান অনিবার্য কারণে বেশ কিছু মানুষ রক্ত দিতে না পারলেও, ঘটনাস্থলে হাজির থেকে এদিন তারা ছিলেন রামিজের পাশেই। সমস্ত শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে এই রক্তদানে সফলভাবে অংশ নেয় সৌমেন।
রামিজ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানালেন, আকাশের অবস্থা খুব একটা ভালো না হওয়া সত্ত্বেও যারা পাশে থাকল তাদের অনেক ভালোবাসা। সবাইকে নিয়ে এদিনের আয়োজন পুরোপুরি সার্থক। আগামী দিনেও এরকম রক্তদান শিবির আরও হবে। আপনাদের এইভাবেই পাশে চাই, সাথে চাই। ভারী অপারেশন হওয়ায় এখনও ৯ মাস রক্ত দিতে পারবেন না রামিজ। সেই জন্য আক্ষেপও জানান তিনি।
Discussion about this post