গত রবিবার মানবিক নজিরের সাক্ষী থাকলো বাংলা। এদিন বিকেলে দক্ষিনেশ্বর থেকে নিমতা মাঝেরহাট এলাকায় এক গ্রাহকের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন জোম্যাটো ডেলিভারি বয় সন্দীপ রায়। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাইক চালিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই তার গলায় আটকে যায় ঘুড়ির নাইলন মাঞ্জা সুতো। গলায় তা ফেঁসে গিয়ে মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রক্তে ভিজে যায় তার জামার একাংশ।
তার এই অবস্থা দেখে ছুটে আসেন আশেপাশের বাইক আরোহী। কর্মরত নিমতা ট্রাফিক পুলিশ সুজয় বিশ্বাস খবর পেয়ে পৌঁছে যান ঘটনাস্থলে। ছুটে আসেন নিমতা থানার ট্রাফিক পুলিশের ওসি সঞ্জীব নস্করও। দ্রুত আহত সন্দীপ রায়কে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তর দমদম পৌর হাসপাতালে। সেখানে যথাযথ ভাবে চলে তার চিকিৎসা। কিন্তু এই অবস্থাতেও তিনি তার কর্তব্য থেকে অনড়। খাবার সঠিক সময়ে পৌঁছে দিতে না পারলে হারিয়ে ফেলতে পারেন এই কাজ। এই চিন্তাতেই তার চোখে জল চলে আসে।
যদিও সেখানে হাজির এক পুলিশ কনস্টেবল তাকে আশ্বাস দেন তিনি নিজেই খাবারটি পৌঁছে দেবেন উক্ত ক্রেতার কাছে।কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি সঠিক ঠিকানায় পৌঁছেও দেন সেই খাবার। সময় যত এগোচ্ছে, দ্রুততর হচ্ছে মানুষের দৈনিক জীবনও। এই আত্মকেন্দ্রিকতার যুগে মানুষের হাতে সময়ের বড্ড অভাব। সেখানে এই ধরনের ঘটনা তো মুক্ত বাতাস পৌঁছে দেয় আমাদের কাছে। আমাদের কাছে পুলিশ মানেই এক রূঢ় ব্যক্তিত্ব, ঘুষ খোর। সেখানে এরকম ঘটনা বারবার ঘটুক। বিপদে আম জনতা পাশে পাক পুলিশকে।
Discussion about this post