জঙ্গলের মধু। তা তো শুধুই মধু নয়, জঙ্গল ও মানুষের মধ্যে এক ধরনের সেতু। জঙ্গলের মধুর জনপ্রিয়তা আজ ক্রমবর্ধমান,ও তা অনায়াসে মিলিয়ে দিচ্ছে গ্রাম ও শহরকে। তার মধ্যে দিয়ে তৈরি হচ্ছে বহ মানুষের সাথে যোগাযোগ, যার মধ্যে বেশ কিছু চিরস্থায়ী। এবছরে জঙ্গলের মধুর পরিক্রমা সম্পূর্ণ হলো কুলতলির মধু প্রাপ্তির সাথে। রায়দিঘি রেঞ্জ অন্তর্গত জঙ্গল থেকে এই মধু প্রাপ্তি বিশেষ পরিতৃপ্তির। পর্যটনের জনপ্রিয়তা ও যোগাযোগ ও পরিষেবার সুব্যবস্থার বাইরে থাকা সমস্ত অঞ্চলের মধু আমাকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, মধুর পাশ দেওয়া হয় এমন সমস্ত ফরেস্ট ব্লকের মধু আস্বাদনের সুযোগ হয়েছে এইবার। স্বাদে ও চেহারায় তাদের বৈশিষ্ঠ্য লক্ষ্যণীয়। এ বছরের মধুর মরসুম পুরনো হয়েছে, এই মধুর রং গাঢ় ও গা ঘন,মিষ্টত্বের মাপে মাঝারি। বলা যায়, প্রথম হালকা কাটের থেকে তা আলাদা। জঙ্গলের মধু শুধু খাদ্যসামগ্রী নয়, একটা অনুভূতি। ভাবতে ভালো লাগে, মধুর সন্ধানে বিভিন্ন দিকে যোগাযোগ আমাকে উপহার দিয়েছে বেশ কিছু জঙ্গলের মানুষ ও তাদের সাথে সখ্যতা। সাথে অবশ্যই স্মরণ করতে হয় একাধিক স্থানীয়দের,যারা যোগাযোগের রাস্তা সহজ করে দিয়েছেন। আলাপ হয়েছে বেশ কিছু সেরা জঙ্গুলেদের সাথে। তাদের থেকেই জানতে পেরেছি স্বল্পমেয়াদি মধু মরসুমের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ সম্পর্কে।
কারুর কাছে ‘ লিকুইড গোল্ড’, আবার কারুর কাছে ‘নেকটার অফ দ্য গডস’ বা ভগবানের অমৃত। বলতে দ্বিধা নেই, সুন্দরবনের চাকভাঙা মধু হাতে পেলে এখনো এক অদ্ভুত উত্তেজনা বোধ করি শিরা- ধমনী বেয়ে।
প্রতিবেদনে উদ্দালক পাবলো
Discussion about this post