মাত্র ১১ টাকা দিয়েই নিজের বিয়ের জন্য ফুচকাওয়ালা বুক করা সম্ভব! শুনেছেন কি কোনদিন? গ্র্যাজুয়েশনের পরই বাবার ফুচকা ব্যবসাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন ব্যারাকপুরের রাজেশ দেবনাথ থুড়ি ‘ভাইরাল ফুচকাওয়ালা’। তথাকথিত চাকরি না করে একটু উল্টো স্রোতেই গা ভাসিয়ে ছিলেন তিনি। শুরুতে মনে হয়েছিল ব্যবসা হয়তো দাঁড়াবে না। তবে এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে রাজেশ দেবনাথ আজ একজন সফল ব্যবসায়ী। তীরে এসে তরী ডুবতে দেননি তিনি। লকডাউনের সময়ও মানুষের সবচেয়ে কাছের ‘ফুচকা’কে দূরে চলে যাওয়া থেকে আটকেছেন রাজেশ। বাড়ি বাড়ি ফুচকা ডেলিভারি দিয়ে এসেছিলেন সেই সময়ে। তখন থেকেই তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন এই অমায়িক ফুচকাওয়ালা।

সম্প্রতি এক মজাদার এবং অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হয়েছেন রাজেশ। বছর চোদ্দর এক কিশোরী নিয়মিত ফুচকা খায় রাজেশের কাছে। সেই মেয়েটি অগ্রিম ১১ টাকা দিয়ে রাজেশকে বুক করেছে, তার বিয়ের যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার জন্য।
রাজেশবাবুর কথায়, “আমি সে সময়ে ভীষণ অবাক হয়েছিলাম। মেয়েটি প্রায়ই আমার বানানো ফুচকা খেতে আসে। একদিন এসে বলে, ৪ বছর পর বিয়ে করবে এবং সেই বিয়েতে কাজের যাবতীয় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে! আমার বানানো ফুচকা নাকি ওর এতো ভালো লাগে। এমনকি অগ্রিম ১১ টাকা দিয়ে গিয়েছে।”

এমন এক অভিনব ভাবনা এবং তাঁর কাজ যে মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গিয়েছে, সেটা ভেবেই আপ্লুত রাজেশ। এভাবেই আজ তাঁর মাথায় আজ অদ্ভুত সুন্দর এক দায়িত্ব। রাজেশ বলেন, “মা’কে বলতেই বললো, ১১ টাকাটা যত্নে রেখে দে। সঠিক সময়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে তো!”
Discussion about this post