ছোট গল্পের সংজ্ঞায় রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’। কিন্তু মার্কিন কবি সাহিত্যিক গ্রেস পালের কথায়, “অণুগল্পের শুরুটা যদি হয় খুব তাড়াতাড়ি শেষটা হবে বিদ্যুতের ঝলকের মত চমক দিয়ে”। দেশে বিদেশে এই অণুগল্পের চর্চা আজকের নয়, কিন্তু আমাদের বাংলায় অণুগল্প নিয়ে কাজ একেবারেই হাতে গোনা। এবার শ্রীরামপুরের মত এক মফঃস্বল থেকে মুক্তি পেল এক অল্প কথার গল্প বই। ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস ও তার কন্যা ঈশিতা দাসের যৌথ উদ্যোগে লেখা ‘গল্পাণু’ গত ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় শ্রীরামপুর টাউন হলে দেখল দিনের আলো। বই প্রকাশের পর প্রদীপ বাবু প্রতিক্রিয়া হিসেবে ‘ডেইলি নিউজ রিল’কে জানান, হেমন্ত স্মরণ সংসদের অনুষ্ঠানের মঞ্চে তাঁর বই মুক্তি পাওয়ায় তিনি গর্বিত। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে তাঁর আশা শ্রীরামপুর হয়ে উঠবে অণুগল্পের আঁতুড়ঘর।
গল্পগুলি মাত্র ৫০ শব্দের হলেও, এই স্বল্প কথাতেই আপনাকে নাড়িয়ে দিয়ে যাবে গল্পাণুর প্রতিটি পাতা। প্রতিটি গল্পই আকর্ষণীয় ও সহজ ভাষায় লেখা। অথচ এর মধ্যে দিয়েই লেখক বারংবার তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন সমাজের বাস্তব চিত্র, লোভ ও স্বার্থের কুটিল অভিসন্ধি। এসবের মাঝে রয়েছে নিখাদ খুশির গল্পও। মন খারাপ থাকলে, ‘গল্পাণু’ উল্টে পড়ে নিতে পারেন ‘ওভারটাইম’ কিংবা ‘বসন্তের টিকা’।
আবার কতটা অমানবিক মানুষ হতে পারে তা ভাবলে গা গুলিয়ে উঠতে পারে আপনার। ‘ইস্ত্রি করা ড্রেস’, ‘পোড়া মুখ’ গল্পে চিনে নিতে পারবেন সেই স্বার্থপর লোভী মানুষগুলিকে। আর বাকিটা এখন বলে দিলে তো হয়েই গেল। এই বইতে রয়েছে মনের আরও রকমারি রসদ। আর সেটা জানতে গেলে এবং চেটেপুটে উপভোগ করতে হলে, পড়তেই হবে ডাক্তারবাবুর ‘গল্পাণু’।
আপাতত কলেজ স্ট্রীটে ‘মান্না পাবলিশার্স’-এর দোকানে এবং শ্রীরামপুরে ‘স্বাস্থ্য ভাবনা’ মাসিক পত্রিকার সদর দফতর ১৫/সি রাজা কে এল গোস্বামী স্ট্রীটে। এছাড়াও ফোনে যোগাযোগ করা হলে ডাকযোগে বইটি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। যোগাযোগ নম্বর ডাঃ প্রদীপ কুমার দাস ৯৮৭৪২৩৯১৯৯
Discussion about this post