দেশি-বিদেশি যে কোনো উড়োজাহাজে চড়ে বসলেই দেখা মিলবে ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্টদের। তাঁরা বেশিরভাগই মহিলা, তবে পুরুষও থাকেন। প্রকৃত অর্থে তাঁদের কাজ যাত্রীদের নিরাপত্তা, সুবিধে বা অসুবিধের খেয়াল রাখা। খাবার, জল ও অন্যান্য পানীয় যাত্রীর পছন্দমত হাতের কাছে পৌঁছে দেওয়া। কিন্তু অবাক করা বিষয় এই, যে এসব কাজে পারদর্শী হওয়ার বাইরেও ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্টদের, বিশেষ করে মহিলাদের এই কাজে ঢুকতে হলে হতে হয় ‘সুন্দরী’,‘আকর্ষণীয়’। আর এই অদ্ভুত নিয়মকেই বুড়ো আঙুল দেখিয়েছে একটি অস্ট্রেলিয়ান এয়ারলাইন।
প্রাচীন, মধ্যযুগ হয়ে পৃথিবী আজ অনেক এগিয়ে গেছে। নারী, পুরুষের সৌন্দর্য্যের সংজ্ঞা বদলে গেছে। নারীকে বা পুরুষকেও পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিতে দেখার প্রবণতা কেটে গেছে। তবু বিমান সেবিকাদের সুন্দর বা আকর্ষণীয় হতে হয়, নির্দিষ্ট মাপের পোশাক পরতে হয়, ওজন বাড়লে-কমলে চাকরি চলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ার ভার্জিন এয়ারলাইন ডাউন সিন্ড্রোমে আক্রান্ত এক নারীকে ফ্লাইট অ্যাটেন্ড্যান্ট হিসেবে নিযুক্ত করল।
অ্যালি সেয়ারস নামের অস্ট্রেলিয়ান মেয়েটি এখন পুরোদস্তুর পেশাদার বিমান সেবিকা হিসেবে কাজ করছেন ভার্জিন এয়ারলাইন্সে। সারা বিশ্ব এই খবরে চমৎকৃত এবং প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছে। মানুষকে সাহায্য করার জন্য সংবেদনশীল মনের প্রয়োজন হয় মাত্র। তারসঙ্গে জন্ম পরিচয়, লিঙ্গ, চেহারা কোনোকিছুর কোনো সম্পর্ক নেই। প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সামর্থ্য থাকা সম্ভব। এটাই যেন প্রমাণ করে দিয়েছে অ্যালি সেয়ারসের ঘটনা।
Discussion about this post