ভারতবর্ষের বৃহত্তম রেলওয়ে কমপ্লেক্স গুলির মধ্যে অন্যতম হল এই হাওড়া স্টেশন। অসংখ্য জনজীবন নির্ভরশীল হাওড়া স্টেশন কে কেন্দ্র করে। এই স্টেশনটি থেকে প্রতিদিন প্রায় ৬০০টিরও বেশি প্যাসেঞ্জার ট্রেন পাস করে। হুগলি নদীর পশ্চিমে অবস্থিত এই স্টেশনটি কমবেশি ১৩৭৩ টি ভিন্ন স্টেশনের সাথে সরাসরি সংযুক্ত। ১৮৫২ সাল নাগাদ স্টেশন নিয়ে টেন্ডার পাস হয়। ১৯০১ সালে রেলপথে পরিবহনের অতিরিক্ত চাহিদার জন্য একটি নতুন স্টেশন বিল্ডিং তৈরী হয়। ব্রিটিশ স্থপতি হালসে রিকার্ডো এই স্টেশনের ডিজাইন তৈরী করেন। এই স্টেশন যাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে একটি বিশাল জনজীবন। সেখানে স্টেশনে যাত্রীদের আপ্যায়ণের জন্য খুলে গেল নতুন এক্সিকিউটিভ লাউঞ্জ ও ফুড কোর্ট।
জুলাই মাসের প্রথম দিন বিকেলেই এটির উদ্বোধন হয়। স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক এই লাউঞ্জে থাকছে যাত্রীদের বিশ্রাম নেবার জন্য থাকার বিশেষ ব্যবস্থা। একটি বেসরকারি সংস্থাকে এই লাউঞ্জ তৈরি ও পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। হ্যাঁ, ৫০ টাকা ঘন্টা প্রতি চার্জ দিয়ে এখানে প্রবেশ করতে পারবেন। যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য লাউঞ্জে থাকছে ডাবল বেডরুম। এমনকি যাত্রীদের বসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থাও থাকছে লাউঞ্জে। লাউঞ্জের ফুড কোর্টে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের খাবার। এর আগেও এধরনের বহু বিলাসবহুল বিশ্রাম ঘর তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে যুক্ত হয়েছে একটি অভিনবত্ব। অনেক ক্ষেত্রেই পরিবহণের সময় শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করানোর প্রয়োজন দেখা দেয়। আর সেই বিষয়কে মাথায় রেখেই লাউঞ্জে থাকছে মাতৃদুগ্ধ পান করানো জন্য বিশেষ ঘরের ব্যবস্থা- ব্রেস্ট ফিডিং রুম। হাওড়া স্টেশনের মতো একটি জনবহুল ও ব্যস্ত স্টেশনের জন্য এমন ভাবনা যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মাথায় রেখেই গৃহীত।
মোটামুটি অত্যাধুনিক ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেই সাজানো হয়েছে গোটা পরিকল্পনাটি। শুধুমাত্র যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যবোধ ও সুবিধাকেই মূলত উদ্দেশ্য করে এই পরিকল্পনাটি রূপায়িত। ভবিষ্যতে এটি কতটা যাত্রীদের জন্য কাজে লাগবে তা সময়ই বলবে।
Discussion about this post