নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরুর মাত্র দু’মাসের মধ্যেই প্রায় ৮১ হাজার করোনা-আক্রান্ত চিনে। প্রযুক্তির দিক থেকে বরাবরই আর বাকি পাঁচটা দেশের থেকে এগিয়ে চিন। তাই এই ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে প্রতিনিয়ত উন্নত প্রযুক্তির খোঁজ চালাচ্ছে চিনা গবেষকগণ। সম্প্রতি ভাইরাসের প্রভাব এড়াতে চিনের বাসিন্দাদের উপর নজরদারীর হুকুম জারি করা হয়েছে। নজরদারীর ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য গবেষকরা একটি নতুন প্রযুক্তির সন্ধানও পেয়েছেন। ভাইরাস সংক্রামিত হওয়ার পরও এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রযুক্তিটি এই মহামারী থেকে রক্ষা করতে বিশেষ সহায়তা করবে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
রিপোর্ট অনুসারে, মুখ চিহ্নিত করার প্রযুক্তি অর্থাৎ ‘ফেস রেকোগনেশন সিস্টেম’ সমেত তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করার একটি নতুন অ্যাপও বের করে ফেলেছেন গবেষকগণ। চিনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম শুরু এই ভাইরাস সংক্রমণ। তাই সেখানের বাসিন্দাদের উপরই প্রথম এই অ্যাপ চালু করার চেষ্টা করা চলছে। প্রযুক্তিটির উন্নতির জন্য সরকার টেনসেন্ট, ওয়েচ্যাট, আলি পে, আলিবাবার মতো প্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য চেয়েছেন। ওয়ে চ্যাট ও আলি পের ব্যবহারকারীরা তাদের চাইনিজ আইডি নম্বর এবং যেখানে তারা ভ্রমণ করছেন তার ট্র্যাক আইডি নম্বর রাখতে পারেন। ব্যবহারকারীদের ট্রাফিক লাইট সিস্টেমের ওপর ভিত্তি করে একটি কিউআর কোড দেওয়া হবে। সেটি নির্দেশ করবে তারা কতদিন ঘরবন্দী থাকবেন। কিউআর কোডটি হল এক ধরণের বার কোড যা চিনে বহুল প্রচলিত।
শনাক্ত করার জন্য আরও অন্যান্য প্রযুক্তির হদিশও পাওয়া গিয়েছে। গ্লোবাল টাইমস সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ড্রোনের মাধ্যমে লোকজনের সঙ্গে আলাপচারিতা সারা হচ্ছে। তাদের মাস্ক ব্যবহার করতে ও বাড়ি ফিরে হাত ধুয়ে ফেলার শিক্ষাও দেওয়া হচ্ছে। অযথা বাড়ির বাইরে ঘুরে বেড়ানোও নিষিদ্ধ করেছে চিনা সরকার। এই প্রযুক্তির ভবিষ্যতের কথা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে চিনের হিউম্যান রাইটস ওয়াচের সিনিয়র গবেষক মায়া ওয়াং জানান, ২০০৮ সালের বেজিং অলিম্পিকে এই প্রযুক্তি নজরদারীতে বিশেষ সাহায্য করেছে। বর্তমানে সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন নেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন ওয়াং।
Discussion about this post