প্রথম ঝলকেই মনে হবে আস্ত এক হাতি! আসলে কিন্তু একটি মন্দির। থাইল্যান্ডের বিখ্যাত হাতি মন্দির। পোশাকি নাম ‘ওয়াট বান রাই’। তবে স্থানীয়দের কাছে তা এলিফ্যান্ট বা হাতি মন্দির হিসাবেই বেশি পরিচিত। কারণটা আর কিছুই না, এর আকৃতি। অবিকল যেন একটি হাতি। তার ভিতরেই অবস্থিত এই মন্দির। দেশ-বিদেশের নানা পর্যটকের দ্রষ্টব্য স্থানও বটে। কেন? আসুন আজ জেনে যাক সেই গল্পই।
অসাধারণ এই মন্দিরটি লুয়াং ফোর কুন পরিশুদ্ধ নামক একজন সাধুর মস্তিষ্ক প্রসূত। থাইল্যান্ডের নাখন রাচাসিমা শহরের একটি লেকের মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে এটি। মন্দিরটিকে এক ঝলক দেখলে মনে হবে রঙ-বেরঙের কচ্ছপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে রয়েছে একটি হাতির মাথা। ঠিক এই কারণেই এই নামকরণ। মন্দিরে প্রবেশের ঠিক মুখেই রয়েছে দুটি বড় সাপ আকৃতির স্থাপত্য। তারা আগলে রয়েছে প্রবেশপথ। এরপর হাতির মুখের মধ্যে দিয়ে ভিতরে যাওয়ার পথ শুরু। ভিতরে ঢুকলেই হাতে আঁকা বিশাল আকারের একটি সুন্দর ছবি আপনাকে স্বাগত জানাবে। এমনকি গোটা মন্দিরটিই আকাশী নীল রঙের একটি বিশাল ছবি দিয়ে মোড়া। চার তলা এই মন্দিরের প্রত্যেকটি তলাই বিভিন্ন রঙিন শিল্পকলা দিয়ে সুন্দর ভাবে সাজানো। তবে সবথেকে বেশি চোখে পড়বে ভগবান বুদ্ধের ছবি এবং বাণী। একদম উঁচু তলায় অবস্থিত প্রার্থনা কক্ষে ভগবান বুদ্ধ এবং লুয়াং ফোর কুং-এর দুটি সোনালি মূর্তি রয়েছে।
বছরের বিভিন্ন সময় বহু পর্যটকদের দেখা মেলে এই মন্দিরে। ভগবান বুদ্ধ এবং লুয়াং ফোর কুং-এর কাছে নিজেদের প্রার্থনা জানাতে ভিড় জমান তাঁরা। তবে শুধুই প্রার্থনাই নয়, মন্দিরটির অসাধারণ স্থাপত্য রীতি দেখতেও এখানে আসেন বহু মানুষই। এই মন্দিরে আসতে গেলে কিছু বিষয় কিন্তু মাথায় রাখতেই হবে। যেমন সঠিক পোশাক পরিধান এবং ভদ্র ব্যবহার। জুতো পরে মন্দিরে প্রবেশও নিষিদ্ধ। থাইল্যান্ডে হাতিকে পবিত্র বলে মনে করা হয় এবং বেশিরভাগ থাইল্যান্ডবাসী বুদ্ধের উপাসক। তাই তাদের আবেগে আঘাত লাগে, এমন কোনও কিছুই করা নিষিদ্ধ এই মন্দিরে। তাহলে আর দেরি কীসের? আপনিও যদি চান এই মন্দিরে গিয়ে নিজের প্রার্থনা জানাতে তাহলে লকডাউনের পরই প্ল্যান করেই ফেলুন না হয়। হাতির দেশে গিয়ে হাতির মন্দির ভ্রমণ! অন্যতম এক অভিজ্ঞতার সাক্ষী হবেন তো বটেই।
Discussion about this post