আগুনের ছ্যাঁকা খেয়েছেন কখনও? একবার অনুভব করে দেখুন তো আপনার তরতাজা জ্যান্ত শরীরটা আগুনে ঝলসে যাচ্ছে। আর আপনি না পারছেন কোথাও যেতে, না পারছেন কথা বলতে। ব্যপারটা ভাবতে গিয়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন এ আবার কেমন নৃশংস কথাবার্তা রে বাবা! হ্যাঁ এমন নৃশংসতাই দিনের পর দিন সহ্য করতে হয় ওই অবলা চারপেয়েদের। চরমভাবে অমানবিক ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ২২ জানুয়ারী পাওয়া গেল একটি মর্মান্তিক ভিডিও। যা দেখে শুনে মানুষ প্রজাতির অংশ হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে হয়তো লজ্জাই পাবেন।
তামিলনাড়ুর নীলগিরি এলাকার মাসিনাগুড়ি গ্রাম। খাবারের খোঁজে সেদিন লোকালয়ে আসে এক পূর্ণবয়স্ক দাঁতাল। একটি বেসরকারি রিসোর্টের সামনে সে ঘোরাঘুরি করে। ঠিক তখনই রিসর্টের কর্মচারীরা তাকে নানাভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। শেষে একটি কেরোসিন ভরা জ্বলন্ত টায়ারকে তাক করে ছোঁড়া হয় হাতিটির দিকে। দাউদাউ করে জ্বলা আগুন ভর্তি টায়ার আটকে যায় দাঁতালটির কানে। প্রাণপনে চিৎকার করতে করতে ফিরে যায় সে। পরে স্থানীয় বাঁধ থেকে উদ্ধার হয় তার সেই রক্তগলা দেহটি। কানের পাশ দিয়ে তখনও গড়িয়ে পড়ছে কাঁচা রক্ত। বহু চেষ্টা করেও অগ্নিদগ্ধ আহত হাতিটিকে বাঁচাতে পারেনি বনদপ্তর।
হাতিটি ছিল বনদপ্তরের প্রবল সহায়ক। বন্য জন্তু উদ্ধার থেকে শুরু করে নানা কাজে লাগত এই হাতিটি। তাই স্থানীয়দের ওপর তীব্র ক্ষুব্ধ বনদপ্তর। একটি বিশেষ দলও গঠন করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। প্রাথমিকভাবেই রিসর্টের মালিক ও কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয় আরও দুই কর্মচারীকে। তদন্ত চলছে এখনও। হাতির উপর এমন জঘন্য অত্যাচার শুধু আজ নয় প্রায়শই ঘটে চলছে। ভাবার সময় হয়েছে এবার আসল বর্বর তবে কারা?
Discussion about this post