অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর গরম অনেকটাই বেশি। তবে এই কষ্টকর আবহাওয়া কিন্তু উৎসবের আমেজে কোনো ব্যঘাত ঘটাতে পারেনি। তার ওপর কালবৈশাখী উৎসবের ক্লান্তিকে নক আউট করেছে। উৎসবের প্রস্তুতিতে জুগিয়েছে অক্সিজেন। সারা বিশ্বে ইসলাম ধর্মের মানুষদের জন্য ঈদ এক মহা আবেগের উৎসব। বাংলায় দুর্গা পুজোর মতোই সমান উৎসাহে ঈদ পালন করা হয়।
রমজান মাস পড়া থেকেই কেনাকাটার পর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলমূল, খাবারের দোকানে যেমন ভিড় তেমনই নতুন জামাকাপড়ের দোকানেও লেগেই রয়েছে মানুষের আনাগোনা। যদিও বাইরের অসহ্য গরমের জন্য বেশ কিছু মানুষ ঘরে বসেই অনলাইন বাজার সেরেছেন। অন্যদিকে এ বছর মহামারি খানিক নিয়ন্ত্রণে এসেছে তাই সেভাবে নিষেধাজ্ঞা নেই। অন্যান্য জায়গার মতোই বর্ধমান শহরেও জোর কদমে চলছে বাজারহাট। মোটামুটি ঈদ স্পেশাল খাবারের জন্য প্রয়োজনে লাগা সব জিনিস বিকিকিনি চলছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। দোকানীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল ঈদের বাজার যে খুব ভালো তা কিন্তু নয়। মালপত্র বিক্রি হচ্ছে ঠিকই তবে ভিড় খানিক ছন্নছাড়া। এই আছে, তো এই নেই!
আসলে পুরসভা থেকে নো পার্কিং এবং তার সাথে টাউনের ভেতর বাস চলাচল বন্ধ রাখায় বাইরে থেকে আসা ক্রেতাদের সংখ্যা কম। সেক্ষেত্রে বিকিকিনিতে প্রভার পড়েছে ভালোই। জামাকাপড় আর খাবারের দোকানগুলির সাথে পাল্লা দিয়ে প্রসাধনী, টেলারিং, মিষ্টির দোকানেও ভিড় জমছে। ঈদের বিশেষত্ব হিসাবে ছোট্ট-মাঝারি রঙিন শিশি ভর্তি আতর সুগন্ধির বাজার বেশ আকর্ষণীয়। বি.সি রোড, রাণীগঞ্জ বাজারে যেরকম ভিড় উৎসবের মরসুমে দেখা যায় তা এবছর নেই। তবে ভি-মার্ট, ট্রেন্ডস, প্যন্টালুনসে জনসমাগম বেশি দেখা যাচ্ছে। সম্ভবত এয়ার-কন্ডিশনে এক ছাদের তলায় কেনাকাটাতে ক্রেতারা স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন বেশি এই বছর। এ বছরের মারাত্মক গরমে ঈদের ফ্যাশনে মেয়েদের জন্য প্লাজো কুর্তি, লুজ টি-শার্ট বেশ চলছে। আবার ছেলেদের কুর্তা,পাঞ্জাবী,ক্যাজুয়ার টি-শার্ট ফ্যশন ইন।
বিগত দু’বছর মানুষজন মহামারির কবলে পরে উৎসবের আনন্দ সেভাবে উপভোগ করতে পারে নি। তাই এই বছর পরিবার পরিজনদের সাথে চুটিয়ে আনন্দ করাই মূল লক্ষ্য। ঈদের চাঁদ দেখে কোলাকুলিতে আরো শক্ত হোক সম্পর্কের বাঁধনগুলো।
Discussion about this post